পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার প্রাদুর্ভাবের পর সামাজিক দূরত্ব রক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ছে। একদিকে প্রতিদিন মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি অন্যদিকে পরীক্ষা কম এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে হয়রানির কারণে বাধ্য হয়েই রোগ প্রতিরোধের দিকে ঝুঁকছে মানুষ। রোগ প্রতিরোধের আগাম প্রস্তুতি নেয়ায় চাহিদা বেড়েছে ভিটামিন সি, জিংক ও ভিটামিনের। জ্বর, গায়ে ব্যথার ওষুধের চাহিদাও বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। আর মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে এসব ওষুধ বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার ফার্মেসি ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা শহর এমনকি গ্রামের হাট-বাজারের ফার্মেসিগুলোতে কৃত্রিম সঙ্কট দেখিয়ে এই জাতীয় ওষুধ বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
জানা যায়, কোম্পানি এসব ওষুধের দাম না বাড়ায়নি। অথচ ফার্মেসিগুলোতে দাম বাড়ানোয় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। অন্যদিকে কোনো কোনো দোকানি প্যারাসিটামল জাতীয় ট্যাবলেটর দামও বেশি রাখছেন। তবে সর্দি-কাশির ওষুধের দাম রাখা হচ্ছে আগের মতোই। গতকাল রাজধানীর শনিরআখড়ার কয়েকটি ফার্মেসি ঘুরে দেখা গেল ভিটামিন সি, জিংক জাতীয় ভিটামিনের। জ্বর, গায়ে ব্যথার ওষুধের চাহিদা বেড়ে গেছে। চাহিদা বেশি হওয়ায় বিক্রেতারা দাম বেশি নিচ্ছেন। কোনো কোনো ফার্মেসিতে সরবরাহ কম অজুহাত দেখিয়ে বেশি দাম নেয়া হচ্ছে। যাত্রাবাড়ী, গোপীবাগ, হাটখোলাসহ রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার ফার্মেসি ঘুরে দেখা যায়, প্রতি ১০ পিস সিভিট-এর দাম ১৯ টাকা হলে কোনো কোনো দোকানি এখন ২৫ টাকা রাখছেন। আর এক পিসের দাম রাখছেন তিন টাকা, অনেক দোকানি আবার আগের কেনা দামেই বিক্রি করছেন। প্রতি ১০ পিস ওরাভিটের দাম ১০ টাকা হলেও তা এখন রাখা হচ্ছে ১৫ টাকা, আয়ুর্বেদিক সুরিনের দাম ১০ টাকার পরিবর্তে ১২ থেকে ১৫ টাকা রাখা হচ্ছে। প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের নাপা ও এইচ-এর দাম ৮ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা বা ১২ টাকা পাতা রাখা হচ্ছে, এক্সটেনশনের দাম ১৫ টাকার পরিবর্তে রাখা হচ্ছে ২০ টাকা। তবে সর্দি-কাশির ফেনাডিন, ফেক্সো ফেনাডিন বা মন্টিলুকাস্ট গ্রুপের ওষুধের দাম আগের মতোই রাখা হচ্ছে।
ফার্মেসিতে ওষুধের দাম বেশি রাখা হলেও বড় (ব্র্যান্ড) ফার্মেসিতে আগের দামেই ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। একই ওষুধের দাম ফার্মেসি ভেদে কম বেশি হওয়ায় ক্রেতার মাঝে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। দাম বেশি নেয়ায় শনিরআখড়ায় এক ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে আসা অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান বলেন, কোম্পানিগুলো ওষুধের দাম বাড়ায়নি অথচ দোকানে বাড়তি দাম রাখা হচ্ছে। কোভিড-১৯ এর কারণে ভিটামিন সি’র চাহিদা বেড়েছে। আর এর সুযোগ ব্যবহার করে মহল্লার দোকানগুলো দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এক ওষুধ ফার্মেসির বিক্রেতা নজরুল ইসলাম বলেন, ভিটামিন সি-জাতীয় ওষুধের চাহিদা এখন বেশি। সে অনুপাতে সরবরাহ কম। অনেকেই মিটফোর্ড থেকে এগুলো নিয়ে এসে বেশি দামে বিক্রি করছেন। তবে আমাদের মতো বড় দোকানে আগের দামেই বিক্রি চলছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, করোনাকালে সবদিকেই সিন্ডিকেট মানুষকে বিপদে ফেলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।