Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কিস্তি বা ঋণকে খেলাপি দেখানো যাবে না

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০২০, ৯:০৫ পিএম

করোনাভাইরাসের প্রভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। অর্থনীতির অধিকাংশ খাতই ক্ষতিগ্রস্ত এবং এর নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা করছে সরকার। তাই এনজিও বা ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে যেসব ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ব্যবসা করছেন আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের কাউকে নতুন করে ঋণ খেলাপি না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ জুন) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সনদপ্রাপ্ত সব ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পাঠিয়েছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ)। এর আগে এমআরএ গত ২২ মার্চ প্রজ্ঞাপন জারি করে ৩০ জুন পর্যন্ত কাউকে ঋণ খেলাপি না করার নির্দেশ দিয়েছিল। নতুন প্রজ্ঞাপনে সেটি আরও তিন মাস বাড়ানো হলো।

নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কনোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব ও ক্ষুদ্র ঋণ গ্রাহকদের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকা- ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে গত ২২ মার্চ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঋণ শ্রেণিকরণের বিষয়ে এ মর্মে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ঋণের শ্রেণিমান যা ছিল, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত উক্ত ঋণ তদাপেক্ষা বিরূপমাণে শ্রেণিকরণ করা যাবে না। অর্থাৎ এ সময়ে ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করলেও কাউকে ঋণ খেলাপি ঘোষণা করা যাবে না। তবে কোনো ঋণের শ্রেণিমানের উন্নতি হলে তা বিদ্যমান নিয়মানুযায়ী শ্রেণিকরণ করা যাবে।

কিন্তু করোনার কারণে অর্থনীতির অধিকাংশ খাতই ক্ষতিগ্রস্ত এবং এর নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়ায় শিল্প, সেবা ও ব্যবসা খাত তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। বর্ণিত বিষয়াবলি বিবেচনায় এবং ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতাদের ব্যবসা-বাণিজ্য তথা স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকা-ের ওপর করোনার নেতিবাচক প্রভাব সহনীয় মাত্রায় রাখার লক্ষ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ঋণের শ্রেণিমান যা ছিল আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উক্ত ঋণ তদাপেক্ষা বিরুপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না।

অর্থাৎ করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ঋণগ্রহীতাদের আর্থিক অক্ষমতার কারণে ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি অপরিশোধিত থাকলেও তাদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্য কোনো কিস্তি বা ঋণকে বকেয়া বা খেলাপি দেখানো যাবে না। তবে কোনো ঋণের শ্রেণিমানের উন্নতি হলে তা বিদ্যমান নিয়মানুযায়ী শ্রেণিকরণ করা যাবে।

এতে আরও বলা হয়, এই সংকট সময়ে ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঋণ গ্রহীতাদের কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করা যাবে না। তবে কোনো আগ্রহী সক্ষম গ্রাহক ঋণের কিস্তি পরিশোধে ইচ্ছুক হলে সে ক্ষেত্রে কিস্তি গ্রহণে কোনো বাধা থাকবে না। এ ছাড়া গ্রামীণ ক্ষুদ্র অর্থনীতির চাকা সচল রাখার স্বার্থে অথরিটি থেকে ইতোপূর্বে জারি সার্কুলারের প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী ঋণ বিতরণ, সঞ্চয় উত্তোলন/ফেরত, জরুরি ত্রাণসামগ্রী বিতরণ, রেমিট্যান্স সেবা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা প্রদানসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদফতর ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি আইন, ২০০৬ এর ধারা ৯ (চ) ও ধারা ৪৮ এ প্রদত্ত ক্ষমতা বলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো। এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে, বলা হয় প্রজ্ঞাপনে।



 

Show all comments
  • মোঃ আবু রাসেল জোয়াদ্দার ২৩ জুন, ২০২০, ৯:৪৯ পিএম says : 0
    আমি জাকস ফাউন্ডেশন থেকে ঋন গ্রহন করেছি কিন্তু তারা সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে আমাকে চাপ প্রয়োগ করছে।এমতবস্থায় আমি কি করবো জানালে উপকৃত হতাম।
    Total Reply(0) Reply
  • Md.RezaurRahman . ২৩ জুন, ২০২০, ১১:৫৩ পিএম says : 0
    আমরা যারা স্কুল,কলেজের শিক্ষকরা বেতনের উপরে এস,ই মি লোন নিয়েছেন,নির্দিষ্ট ব্যাংক থেকে, তাদের বিষয়ে কোন ইনফরমেশন আছে ক? জানালে কৃতার্থ হবো।
    Total Reply(0) Reply
  • Màhendra náth roy ২৪ জুন, ২০২০, ৮:২৫ এএম says : 0
    Thanks a lot . Thanks a lot for the news.
    Total Reply(0) Reply
  • md. jahidul islam ২৪ জুন, ২০২০, ২:২৪ পিএম says : 0
    পারলে এই কাজটা করেন তাতে ঋণগ্রহীতাদের একটু মনে বল আসবে...মানুষ শুধু কোরোনাভাইরাস এর জন্য মরবে না মরবে এনজিওদের চাপে পরে. কারন সবে মাত্র লকডাউন খুলতে না খুলতে কিস্তির লোকেরা এসে চাপ সৃষ্টি করতেছে। সাধারন মানুষ যারা মাত্র কাজে যেতে শুরু করছে দোকান পাট খুলছে তাদেরকে নিম্ন একটা সপ্তাহ সময় না দিলে কি করে কিস্তির টাকা দিবে। তার উপর যদি বিকাল ৪ টা পযন্ত সময় এর মধ্য কি ভাবে পারবে জনগন কিস্তির টাকা গুছাতে। ধরুন একজন গ্রাহক NGO থেকে ২.০০০০০/- ঋণ নিছে তার মাসে কিস্তি আছে ১৯.০০০/- ডিপিএস সন্চয় সহ প্রায় ২০.০০০/- সে গ্রাহক কি করে কিস্তি দিবে সব একটু বলবেন । এই মহামারি কোরোনাভাইরাস এর কারনে মানুষের ব্যাবসা একদম শেষ. ঠিক ভাবে স্কুল কলেজ কোচিং সেন্টার যদি খোলা না থাকে তা হলে মানুষ যারা ব্যাবসা করে খাই সব চাইতে তারা বিপদের মুখে পরবে বেশি। তাই মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আপনি বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে দেখবেন। হয় যারা NGO দের কাছ থেকে টাকা এনে এই মহামারি কোরোনাভাইরাস এর ভিতর এ পরে বিপদের মুখে আছেন হয় তাদের বই গুলাকে প্রতক NGO অফিসদের বলে ২ থেকে ৩ বছর মিয়াদি করে দিতে না হলে মানুষের মরনের ঠিক থাকবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Md.Rabiul Islam ২৪ জুন, ২০২০, ৪:২৪ পিএম says : 0
    Circular Ta paoya jabe kothay?
    Total Reply(0) Reply
  • Md Nuruzzaman ২৫ জুন, ২০২০, ১০:০৫ পিএম says : 0
    এটি ভুয়া,এন জিওর লোকেরা একথা বললে বলে।এটার সত্যতা কতটুকু জানতে চাই।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ