পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর দক্ষিণখানে চাঞ্চল্যকর হেলাল হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গত রোববার রাতে রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ঘটনার মূলহোতা অভিযুক্ত চার্লস রুপম সরকারকে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। পরে গতকাল দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল বাতেন।
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত রুপম পূর্ব পরিচিত ভিকটিম হেলালের কাছে অনেক টাকা পয়সা আছে ভেবে টাকা আত্মসাৎ করার জন্যই সে এই হত্যাকান্ডটি করে। হত্যাকান্ডের দিন দুপুরবেলা ফেসবুক মেসেঞ্জারে কল করে ভিকটিমকে ফটোস্ট্যাট মেশিন কিনতে যাওয়ার কথা বলে রুপম সরকারের বাসায় আসতে বলে। বাসায় আসার পর চার্লস রুপম সরকার এবং তার স্ত্রী মনি সরকার ভিকটিম বেলালকে চা পান করতে দেয়। চা তৈরি করার সময় রুপম সরকার চায়ের মধ্যে ঘুমের দুইটি বড়ি গুঁড়ো করে মিশিয়ে দেয়। চা পানের এক পর্যায়ে ভিকটিম হেলাল ঘুমিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ডিস এন্টেনা তার ভিকটিমের গলায় পেচিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুই দিক থেকে টেনে ভিকটিম হেলালের মৃত্যু নিশ্চিত করে।
তিনি জানান, ভিকটিমকে হত্যার পর তার বিকাশ এবং নগদ একাউন্টে রক্ষিত টাকা থেকে ৪৩ হাজার টাকা উঠিয়ে নেয়। তার স্ত্রী মনি সরকারকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে পাঠিয়ে দেয় শাশুড়ি রাশেদার কাছে। আর রুপম হেলালের লাশটিকে বাথরুমে নিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে টুকরো টুকরো করে রাতেই শপিং ব্যাগে করে খন্ডিত মাথাটি রেখে দেয় ভ‚ঁইয়া কবরস্থান সংলগ্ন ডোবার ডাস্টবিনের মধ্যে। পরের দিন সকাল সাড়ে নয়টায় রুপম সরকার অটোরিকশায় করে লাশের অবশিষ্ট অংশ বস্তায় ভরে উত্তরার বিভিন্ন জায়গায় ফেলে রেখে আসে।
গত ১৫ জুন উত্তরার দক্ষিণখান এবং বিমানবন্দর থানা এলাকায় হেলালের খন্ডিত ধড় এবং কোমর থেকে পায়ের অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরে হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দারা ছায়া তদন্ত শুরু করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।