পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাইটসেভার্স বাংলাদেশ কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সুরক্ষার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতিসংঘ এবং তার সদস্য রাষ্ট্রের প্রতি আহবান জানাচ্ছে। এ লক্ষ্যে সাইটসেভার্স বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশেও একটি স্বাক্ষর গ্রহণ ক্যাম্পেইনে/অভিযানে সম্পৃক্ত হয়েছে। এই স্বাক্ষর অভিযানে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশ সরকারের নিকট কোভিড-১৯ এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য আহবান জানাচ্ছে। সোমবার (২২ জুন) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
করোনা মহামারি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদেরকে অধিকতর ঝুঁকিতে ফেলেছে। এমতাবস্থাায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সাইটসেভার্স মনে করে সরকারের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সুরক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দেয়া উচিত।
সাইটসেভার্স বাংলাদেশের কান্ট্রি ডাইরেক্টর অমৃতা রেজিনা রোজারিও বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদেরকে একটি কঠিন সঙ্কটের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিগণও মানুষ এবং তারাও সত্তাগতভাবে মানব মর্যদার অধিকারী। মানব মর্যদার স্বীকৃতিস্বরুপ তাদের শুধু দরকার রাষ্ট্র ও উন্নয়ন সহযোগীদের সমর্থন এবং তাদের সমস্যার স্বীকৃতি। অন্যান্য সকল মানুষের মত তারাও সমাজে একই ভাবে অবদান রাখতে পারেন।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা কোভিড-১৯ মহামারিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রেই বৈষম্যের স্বীকার হয়েছেন। স্বাস্থ্যাসেবা গ্রহণ থেকে শুরু করে তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রেও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদেরকে বাধার শিকার হতে হচ্ছে। বেশীরভাগ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিগণই বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহে হিমশিম খাচ্ছেন। চলাচল বা অন্যান্য সাহায্যের জন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রায়ই অন্যের সংস্পর্শে আসতে হয় যা তাদের কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যা ঝুঁকি অনেকাংশে বাড়িয়ে দিচ্ছে।
অয়ন দেবনাথ, সাইটসেভার্স বাংলাদেশ-এর অ্যাডভোকেসি লিড, এ প্রসঙ্গে বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উপর বৈষম্যেমূলক অবস্থাার আরো অবনতি ঘটিয়েছে এবং একই সাথে সমাজে বিদ্যমান অসমতার চিত্রটি আরো প্রবলভাবে তুলে ধরেছে। করোনা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবনমানের উপর যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে তা বিগত কয়েক দশকেও দেখা যায়নি। যখন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উপর বৈষম্য সমগ্র বিশে^ই কম- বেশী বিদ্যমান তখনএটি সহজেই অনুমেয় যে করোনার মত একটি বৈশি^ক মহামারিতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাই সবচেয়ে বেশী ক্ষতির স্বীকার হবেন।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার আন্দোলন জাতিসংঘ এখন বিশেষভাবে বিবেচনা করছে বলে মত দিয়েছেন সাইটসেভার্স’র ‘ইকোয়াল ওয়ার্ল্ড বা সমতার বিশ^’ শীর্ষক অভিযানের/ক্যাম্পেইনের প্রধান নাতাশা কেনেডি। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সনদ বাস্তবায়িত হলে তাদের অনেক সমস্যার স্বীকৃতি ও সমাধান মিলবে। সাইটসেভার্স আশা করে এই আবেদনের প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ সরকার করোনা মহামারি থেকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পিছনে রেখে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কোন ভাবেই সম্ভব নয়। সমগ্র বিশ^ই এখন একটি ক্রান্তিকাল পার করছে যার মধ্যে রয়েছে ১০০ কোটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি যারা তাদের স্বীকৃতি ও সমর্থনের জন্য প্রতিনিয়ত লড়াই করে যাচ্ছেন। আগামী ১৫ জুলাই বুধবার পর্যন্ত এই প্রচারণার স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হবে। স্বাক্ষর সংগ্রহ শেষে জাতিসংঘ এবং এর সকল সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে এই আবেদন পেশ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।