পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বর্ষা মৌসুমের আগে থেকেই নিয়মিত ভারি বর্ষণের কারণে উত্তরের সব নদ-নদীই এখন পানিতে টইটম্বুর। বর্ষার ১৫ দিন আগেই উত্তরের পদ্মা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তাসহ ছোটবড় নদ-নদীতে গত দেড় যুগেও এমন ভরপুর পানি থাকার রেকর্ড নেই।
ফারাক্কা, গজলডোবাসহ অন্তুত ৫০টি নদ-নদীর প্রবেশ মুখে ভারতের বাঁধ, স্পার, রেগুলেটর ইত্যাদির মাধ্যমে উজানে পানি প্রত্যাহার করে নেয়ায় উত্তরাঞ্চলের দেড় শতাধিকের মধ্যে প্রায় ৫০টির মত নদ-নদী মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে। বাকি গুলোর বেশিরভাগই সারাবছর পানি প্রবাহ থাকে না বললেই চলে ।
কেবল ভরা বর্ষা মৌসুমে নদ-নদীগুলোর ভারতীয় অংশে যখন বন্যা বা ভূমিধ্বস দেখা দেয় তখন ভারতীয়রা বাঁধ, স্পার বা রেগুলেটরের মুখ খুলে দেয়। আর কেবল তখনই উত্তরাঞ্চলের নদ-নদীগুলোতে ধেয়ে আসে পানির ফোয়ারা। যা শেষ পর্যন্ত সর্বনাশা বন্যার রুপে ভাসিয়ে নিয়ে যায় বিভিন্ন অবকাঠামো ও প্রতিষ্ঠান। ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয় ব্যাপক।
মূলত এ বছর মৌসুমের প্রথম থেকেই নিয়মিত বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরপূর্ব ভারতের আসাম, মেঘালয়, দার্জিলিং সন্নিহিত পাহাড়ী অঞ্চলে। তার প্রভাবে উত্তরের রংপুর বিভাগীয় জেলা ছাড়াও রাজমাহী বিভাগের নওগাঁ, জয়পুরহাট ও বগুড়া জেলাতেও প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে। ফলে এবার শুষ্ক মৌসুমে ভারতের পানি আটকানোর প্রয়োজন পড়েনি। আর ভরা বর্ষায় প্রত্যাশা মতোই বৃষ্টি হচ্ছে ফলে উত্তরে বাংলাদেশ সীমান্তের প্রবেশমুখে পানি আটকালে ভারতে নিশ্চিতভাবেই বন্যা দেখা দেবে।
যরি কারণে পানি না আটকানোয় স্বচ্ছ পানির ফোয়ারা প্রবেশ করছে দেশের ছোটবড় সব নদ-নদীতেই। উত্তরাঞ্চল যেন ফিরে গেছে গেছে সেই পুরনো দিনে যখন ভারত উজানের কোনো নদীতেই বাঁধ, স্পার বা রেগুরেটর নির্মাণ করেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।