পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সম্প্রতি চীন সরকারের ‘এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্ট’ অনুযায়ী বাংলাদেশের পণ্য চীনা বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুবিধা ঘোষণা করায় ভারতের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। ভারতীয় বিভিন্ন মিডিয়ায় চীনা বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের বিষয়টিকে খয়রাতি চুক্তি বলে নিকৃষ্ট মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে। ভারতীয় মিডিয়ায় খয়রাতি চুক্তি বলার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের দলীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা সুজা ও মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, বাণিজ্য চুক্তিকে খয়রাতি চুক্তি বলা নিকৃষ্ট মানসিকতার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। সরকার দীর্ঘদিন যাবত বাণিজ্য ভারসাম্য বজায় রাখার স্বার্থে চীনের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার আদায়ের জন্য জোর তৎপরতা চালিয়ে আসছিল, যা অবশেষে সফলতার মুখ দেখেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এ ধরনের অপমান সূচক শব্দ ব্যবহার করে সে সকল প্রতিষ্ঠানের এডিটর সহ সংবাদকর্মীদের মান, যোগ্যতা ও শিষ্টাচার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে ফাটল ধরাতে এ ধরনের মিডিয়া কর্মীরা নিয়োজিত কিনা তা ভারতীয় সরকারের বিবেচনার বিষয়। তবে ভারত সরকার যদি এ বিষয়ে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকে তবে ভারত এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে তার শেষ মিত্র রাষ্ট্রটিও হারাবে। চীনের শুল্কমুক্ত সুবিধা ঘোষণায় যাদের গাত্রদাহ হচ্ছে তারা সামর্থ্য থাকলে ভারতীয় বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের কার্যকর শুল্কমুক্ত প্রবেশের জন্য দাবি তুলুক। অবিলম্বে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আপত্তি ও প্রতিবাদ জানানোর দাবি জানান তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।