পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের কাছে অভিযোগ আছে পাড় কেটেই পুকুর কাটার বিল নেওয়া হয়। পুকুরের চারপাশ পরিষ্কার করেই বিল নেওয়া হয়। এসময় বিষয়গুলো ভালোভাবে নজরদারির নির্দেশ দেন তিনি।
আজ রোববার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী এবং একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ আছে পাড় কেটেই পুকুর কাটার বিল নেওয়া হয়। পুকুরের গভীরতা খনন না করে চারপাশ পরিষ্কার করেই বিল নেওয়া হয়। এর আগে একনেক সভায় এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমের গতি বাড়াতে ‘পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২৮০ এমপির জন্য বরাদ্দ ৬৪৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ ও প্রায় ৯ হাজার ৪৬০ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর।
২৮০ এমপির জন্য বরাদ্দ ৬৪৭৭ কোটি টাকা, ১০ প্রকল্প অনুমোদন
সারাদেশে এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমের গতি বাড়াতে দেশের ২৮০টি সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্যরা (এমপি) বরাদ্দ পাবেন ৬ হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা।
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ‘পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২৮০ এমপি বরাদ্দ পাবেন। প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রায় ৯ হাজার ৪৬০ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১০টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।
গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান উপস্থিত থাকবেন। একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়ে এসব তথ্য জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে প্রত্যন্ত পল্লী অঞ্চলেও আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারিত হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এমপিরা তৃতীয়বারের মতো বরাদ্দ পাচ্ছেন। এ দফায় বরাদ্দের পরিমাণ ২০ কোটি টাকা। এই টাকা দিয়ে তারা এলাকার রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট, হাটবাজার ও বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন করতে পারবেন। তবে একবারে নয়, চার ভাগে প্রতিবছর পাঁচ কোটি টাকা করে এই টাকা বরাদ্দ পাবেন তারা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে করোনা সংকট মোকাবিলায় অবদান রাখবে। সাধারণত গ্রামীণ এলাকায় প্রকল্পের কাজ হবে।
তৃতীয় দফায় এই প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ৩০৫ কিলোমিটার উপজেলা সড়ক, ৩৬০ কিলোমিটার ইউনিয়ন সড়ক উন্নয়ন, ৫ হাজার ৭৫ কিলোমিটার গ্রাম সড়ক উন্নয়ন, এক হাজার ৯০ কিলামিটার গ্রামীণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ, ৭ হাজার ৯৯২ মিটার গ্রামীণ সড়কে (১০০ মিটারের কম দৈর্ঘ্যের) সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। এমপিদের জন্য এটি তৃতীয় ধাপের বরাদ্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।