পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা মেকাবিলায় দেশের মানুষ ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় ১০ দফা দাবিতে পেশ করেছে ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি এন্ড রেসপন্সিবলেটি-এফডিআরএস। গতকাল এসব দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সেগুলো হলো- ১. করোনা মোকাবিলায় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অতিদ্রুত বাস্তবায়ন এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আরো কার্যকর পদ্ধতি উদ্ভাবন করা। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি নেতৃত্বে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি করে তাদের সুপারিশ সময় বেঁধে দিয়ে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে সবধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। ২. করোনা মোকাবিলায় সফল দেশগুলির থেকে সহায়তা নেওয়া। ৩. একই শহরের ভেতরে তিন রঙের জোন না করে বরং পুরো শহর/ (জেলা) যেমন- ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, গাজিপুর, চট্টগ্রামসহ হটস্পট শহর/জেলাসমূহে কঠোরভাবে চার সপ্তাহের জন্য সম্পূর্ণ লকডাউন করতে হবে। এ সময়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবক, প্রশাসন ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর সক্রিয় ভ‚মিকা নিশ্চিত করতে হবে। দরিদ্র এবং চিকিৎসা সেবা প্রত্যাশী মানুষ যেন কষ্ট না পায়, সেটা নিশ্চিত করা। যতটা সম্ভব টেস্ট করতে হবে। চার সপ্তাহের শেষদিকে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে লকডাউনের পরবর্তী সম্প্রসারণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ৪. কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে যে সব ডাক্তাররা ইতিমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের প্রণোদনার অর্থ দ্রæত প্রদান দ্রæত প্রদান করতে হবে। কোভিড-১৯ এ মৃত্যুবরণকারী বেসরকারী ডাক্তারদের জন্যও প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে। ৫. কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে লক্ষ্যে ‘চিকিৎসকসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মী সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন করা। এই আইনে সকলের মতামত নেওয়া এবং পৃথক আইন করুন। এর সঙ্গে কোন ক্লিনিক , প্যাথলজি ল্যাব বা ব্যবসাপরিচালনাকে সংযুক্ত না করে, কেবল স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা বিধান করুণ। এছাড়া দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত ‘হেলথ পুলিশ’ গঠন করা। ৬. কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মানসম্মত ‘ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সামগ্রী’ বা পিপিই প্রদান করতে হবে। পিপিইর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করে তা সহজলভ্য করতে হবে ও মুনাফালোভীদের অসাধু ব্যবসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ৭. সকল চিকিৎসকের ন্যায্য বেতনভাতা নিশ্চিত করা। বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে ও বেসরকারী মেডিকেল কলেজে বেতন ও বোনাস কর্তন, অন্যায় ছাঁটাই বন্ধ করা। কম বেতন দিয়ে অতিরিক্ত শ্রমঘন্টা কাজ করানো বন্ধ করতে হবে। ৮. জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে স্বাস্থ্যখাতকে ঢেলে সাজাবার লক্ষ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচী গ্রহণ করতে হবে।
পাশাপাশি মেডিক্যাল শিক্ষাকেও আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে হবে। ৯. দেশব্যাপী দরিদ্রদের মধ্যে/চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও অন্যান্য সম্মুখযোদ্ধাদের জন্য বিনা মূল্যে/ অন্যদের জন্য ন্যায্যমূল্যে মাস্ক, সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা। ১০. করোনা মোকাবেলায় প্রতিটা মানুষের স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারের আদেশ মেনে চলাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যখাতের বিরাজমান অব্যবস্থা জনগনের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবার প্রতি অবিশ্বাস ও অনাস্থা তৈরী করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।