পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
দ্য সিটি, এক্সিম ও এবি ব্যাংকের পর এবার কর্মীদের বেতন-ভাতা কমালো আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকটির কর্মীদের বেতন-ভাতা ১০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কর্তন করা হয়েছে। ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) বেতন কমিয়ে আনা হয়েছে ৮ লাখে।
তবে অন্য ব্যাংকের তুলনায় ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়েছে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা পর্ষদ সভায় অংশগ্রহণের জন্য কোনো সম্মানী না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির পর্ষদ সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরিচালনা পর্ষদের মেমোতে বলা হয়েছে, বেতন-ভাতা কমানোর পাশাপাশি কর্মীদের ইনক্রিমেন্ট ও ইনসেনটিভ বোনাস ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সব ধরনের কর্মী নিয়োগও।
পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কয়েকটি ভাগে ভাগ করে বেতন কমিয়েছে এআইবিএল। এর মধ্যে সব মিলিয়ে যারা ৪০ হাজার টাকার বেশি বেতন পান, এমন কর্মীদের বেতন কমানো হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ভাগে ৪০ হাজার টাকার উপরে কিন্তু এক লাখ টাকার নিচে যাদের বেতন তাদের ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমবে। এক লাখ থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত কমবে ১৫ শতাংশ। যারা দুই লাখ বেতন পান তাদের কমবে ২০ শতাংশ। ব্যাংকের ডিএমডিদের কমছে ২৫ শতাংশ। ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) বেতন ৪০ শতাংশ কমিয়ে আট লাখ টাকা করা হয়েছে। করোনায় অর্থনৈতিক মন্দার প্রেক্ষিতে কর্মী ছাঁটাই না করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটি।
চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ নিয়ম কার্যকর থাকবে বলে জানা গেছে। এ সময় ইনসেনটিভ, বোনাস ও ইনক্রিমেন্টও দেয়া হবে না। নতুন শাখা খোলাও বন্ধ থাকবে। সব প্রকার স্থায়ী সম্পদ ক্রয় এবং কর্মীদের বিদেশে প্রশিক্ষণও বন্ধ থাকবে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে করোনা সংক্রান্ত সিএসআর ও শিক্ষাবৃত্তি কার্যক্রম ছাড়া অন্যসব খরচ বন্ধ থাকবে।
এর আগে সম্প্রতি ব্যাংক কর্মীদের বেতন-ভাতা ১৫ শতাংশ কমানো, পদোন্নতি, ইনক্রিমেন্ট, ইনসেনসিভ বোনাস বন্ধ করাসহ ১৩ দফা সুপারিশ করে দেশের সব বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি দেয় বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (বিএবি)। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ব্যাংকে ব্যাংকে কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন মহলে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। এমন পরিস্থিতিতে বেতন-ভাতা কমানোর সুপারিশ থেকে সরে আসে বিএবি।
কিন্তু বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের মালিকাধীন এক্সিম ব্যাংকের কর্মীদের বেতন ঠিকই কমানো হয়েছে। চলমান সংকটে ব্যাংক বাঁচাতেই এ সিদ্ধান্ত নেয় হয়েছে। দেশের আর্থসামাজিক পরিস্থিতিতে ব্যাংকারদের বেতন-কাঠামো এমনিতেই বেশি ছিল। ১৫ শতাংশ বেতন কমালে ব্যাংকারদের কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলে মনে করছে ব্যাংটির পরিচালনা পর্ষদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।