পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ বিপজ্জনকহারে বাড়ছে। সে সাথে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। গতকাল বৃহস্পতিবার আরো চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ৬৮ দিনে মৃত্যুর সংখ্যা ১৩১ ছাড়িয়ে গেছে। নতুন করে আরো ১৭৮ জনের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭৬৩ জনে।
চট্টগ্রামে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৩ এপ্রিল। করোনায় প্রথম মৃত্যু হয় ৮এপ্রিল। তিনদিন পর ১১ এপ্রিল ওই মৃত ব্যক্তির নমুনায় করোনা পজেটিভ আসে। সেই থেকে গতকাল পর্যন্ত ১৩১ জনের মৃত্যু রেকর্ড হলো। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবায় বেহাল দশার কারণে মৃত্যু বাড়ছে। চিকিৎসা না পেয়ে অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। এখনও চিকিৎসায় শৃঙ্খলা আসেনি। অনেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় ছুটছেন। আইসিইউ এবং অক্সিজেনের অভাবে অনেক করোনা রোগী মারা গেছেন।
করোনা উপসর্গ নিয়ে এ সময়ে আরো কয়েকগুণ বেশি মৃত্যু হয়েছে। গতকাল একদিনেই জেনারেল হাসপাতালে উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন তিনজন। চিকিৎসকেরা বলছেন উপসর্গ নিয়ে প্রতিদিন যত সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে তার হিসাব রাখা গেলে করোনায় মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা কয়েকগুণ ছাড়িয়ে যাবে। উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া বেশিরভাগ মানুষের নমুনা পরীক্ষা না হওয়ায় মৃত্যুর প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাচ্ছে না। শুরুতে উপসর্গ নিয়ে যারা মারা গেছেন তাদের নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্যবিভাগ। তবে এখন মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় এবং করোনা টেস্টে ধীরগতির কারণে অনেকের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে না।
তবে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, যারা করোনায় মারা যাচ্ছেন, অথবা মৃত্যুর পর যাদের করোনা পজেটিভ আসছে তাদের সংখ্যা তালিকায় আসছে। করোনা ছাড়াও হৃদরোগ, কিডনিসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্তরাও শ^াসকষ্টে ভোগেন। ফলে উপসর্গ নিয়ে সব মৃত্যু করোনায় মৃত্যু সেটা বলা যাবে না। শুরুতে স্বাস্থ্যবিভাগ এ হিসাব রাখলেও এখন রাখা হচ্ছে না বলে জানান তিনি। তিনি বলেন এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর হার মোট আক্রান্তের দুই শতাংশ। যারা মারা গেছেন তাদের বেশির ভাগের অন্য রোগও ছিলো। ্করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৬০ ভাগ মহানগরীর বাসিন্দা। আর উপজেলার বাসিন্দা ৩১ ভাগ। নগরীর ৪০টি এলাকায় ১০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর জেলার ১৩টি এলাকায় ম ারা গেছেন ২৯ জন।
এদিকে গতকাল নতুন করে ৫২ জন হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন। এনিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৫৩৮ জন। বাসায় থেকে সুস্থ হয়েছেন আরো প্রায় দেড় হাজার। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩৯২ জন। বাসায় আইসোলেশনে ৫৩৮ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।