পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
কর্মীদের বেতন-বোনাস না কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বেসরকারি সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড। ইতিমধ্যেই ব্যাংকটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন ব্যাংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আসাদুল্লাহিল গালিব। বুধবার (১৭ জুন) তিনি এ তথ্য জানান।
জানা গেছে, গত ১১ জুন কর্মীদের বেতন-ভাতা ১৬ শতাংশ কর্তনের ঘোষণা দিয়েছে দ্য সিটি ব্যাংক, ১৫ জুন ১৫ শতাংশ কর্তনের ঘোষণা দিয়েছে এক্সিম ব্যাংক। পাশাপাশি কর্মীদের পদোন্নতি ও ইনক্রিমেন্ট বন্ধেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটি। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
এর আগে, ব্যাংককর্মীদের বেতন-ভাতা ১৫ শতাংশ কমানো, পদোন্নতি, ইনক্রিমেন্ট, ইনসেন্টিভ বোনাস বন্ধ করাসহ ১৩ দফা সুপারিশ করে দেশের সব বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি দেয় বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)। কিন্তু এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ব্যাংকে কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন মহলে চলছে সমালোচনার ঝড়। এমন পরিস্থিতিতে বেতন-ভাতা কমানোর সুপারিশ থেকে সরে এসেছে বিএবি। এর আগে, করোনার প্রাদুর্ভাবে আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কর্মীদের ১৬ শতাংশ বেতন-ভাতা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসরকারি খাতের দি সিটি ব্যাংক লিমিটেড। এতে কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সাউথ বাংলা ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান এস. এম. আমজাদ হোসেন বলেন, মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যে আমাদের ব্যাংক কর্মকর্তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনগণের সেবা দিয়ে আসছে। করোনার প্রভাবে নেতিবাচক অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে ব্যাংকারদের ফ্রন্টলাইনার যোদ্ধা হিসেবে মনোবল ধরে রাখা প্রয়োজন। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্যাকেজ বাস্তবায়নেও ব্যাংকের অনেক ভূমিকা রয়েছে। এমতবস্থায় আমাদের ব্যাংকের পরিষদ কর্মকর্তাদের বেতন না কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রকৃতার্থে বেতনভাতা কম দিয়ে ব্যাংকের খুব বেশি লাভ হয় না।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বের মানুষ করোনাভাইরাসের পরিণতিতে বিচলিত হয়ে পড়েছেন। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অর্থনীতেতে এখন বৈশ্বিক মহামন্দা চলছে। এপ্রেক্ষিতে আমাদেরকে ঘুরে দাঁড়াতে ব্যাংকিং সেবার মান ও পণ্যে নতুত্ব আনতে হবে। যা ব্যাংক কর্মকর্তাদের দ্বারা সম্পাদিত হবে। সুতরাং কর্মকর্তাদের বেতন না কমিয়ে অন্যান্য অপব্যয় কমাতে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।