পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্রদের ১০ টাকা কেজির চাল নিয়ে সিলেটের বিশ্বনাথে চলছে দুর্নীতি ও লুটপাট। কার্ডধারীদের নামমাত্র চাল দিয়ে একটি সিন্ডিকেট কালো বাজারে সব বিক্রি করছে। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কড়া হুঁশিয়ারি থাকলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। সত্য বললে টিকে থাকার সুযোগ নেই এমনটা বলে না জানার ভান করে আছেন বিভিন্ন পর্যায়ে থাকা জনপ্রতিনিধিরা।
বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও কার্ডধারীদের তথ্যে জানা যায়, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ১০ টাকা মূল্যের চাল সরবরাহের জন্য ৮ জন ডিলার রয়েছেন। চাল বিতরণ তদারকির জন্য ৮ জন সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রয়েছেন। কিন্তু তারপরও অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে। খাদ্য অফিস জানায়, হতদরিদ্রদের জন্য এ পর্যন্ত লামাকাজি ইউনিয়নের ১৪৪.৪২ মেট্রিক টন, খাজাঞ্চি ১২৩.৭৯ মেট্রিক টন, অলংকারি ১১৬.৮৬০ মেট্রিক টন, রামপাশা ১৪৩.২৫ মেট্রিক টন, দৌলতপুর ১৩১.৩২ মেট্রিক টন, বিশ্বনাথ ১৮০.১৫ মেট্রিক টন, দেওকলস ৭৯.৭১ মেট্রিক টন, এবং দশঘর ইউনিয়নে ৯২.৮৮ মেট্রিক টন চাল উত্তোলনের তথ্য পাওয়া যায়। ২০১৬ সাল থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে চার ভাগের একভাগ চালও কার্ডধারীদের মধ্যে বিতরণ হয়নি।
খাদ্য অফিসে দাখিল করা হতদরিদ্রদের তালিকা যাচাই করে পাওয়া যায় ভয়াবহ দুর্নীতির তথ্য। তালিকায় মৃত ব্যক্তি, একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি, ধনী ব্যক্তি এবং ডিলার, চেয়ারম্যান, মেম্বারদের স্বজনদের নাম রয়েছে। মানা হয়নি সরকারি বিধি। তালিকায় থাকা অনেকের কার্ড থাকে ডিলারের জিন্মায়। আরো আশঙ্কার কথা, খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলন করা চাল প্রতিটি ইউনিয়নে পৌঁছায় না। রাস্তায় উধাও হয়ে যায় চাল বোঝাই ট্রাক আর বড় কর্তার কাছে খামের আদান-প্রদান কারোই অজানা নয়।
লামাকাজি, অলংকারি, রামপাশা, দৌলতপুর এবং দশঘর ইউনিয়নে চাল নিয়ে দুর্নীতির তথ্য পাওয়া যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন ইউনিয়নের কয়েকজন ইউপি সদস্য জানান, ১০ টাকা মূল্যের চালে কার্ডধারীদের তালিকা মেম্বার-চেয়ারম্যান দিলেও ডিলাররা তাদের ইচ্ছামত নাম পরিবর্তন করে।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রায় সমসুরেই গলা মেলালেন উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার দাস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।