পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস সঙ্কটে সারাবিশ্বের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি চাই, মানুষের ভেতর যেন একটি আস্থা-বিশ্বাস থাকে। সেই বিশ্বাস-আস্থাটা ধরে রাখতে হবে। কারণ আমরা হার মানব না। মৃত্যু তো হবেই। মৃত্যু যে কোনো মুহূর্তে যে কোনো কারণে হতে পারে। কিন্তু তার জন্য ভীত হয়ে হার মানতে হবে এই ধরনের একটা অদৃশ্য শক্তির কাছে, এটা তো কাম্য না। সে জন্য আমাদেরকেও প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
গতকাল সকালে গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসএসএফের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার সরাসরি স¤প্রচার করে।
ভিডিও কনফারেন্সে জনসমাগমে না গিয়েও সকলের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের সুবিধার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতি আছে বলে মানুষের কাছে যেতে পারছি, কথা বলতে পারছি এবং বার বার যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাস যাকে দেখা যাচ্ছে না, অদৃশ্য একটা শক্তি! জানি না আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কী খেলা! সেই অদৃশ্য শক্তির ভয়ে আজকে সারাবিশ্ব স্থবির। সারাবিশ্ব স্তম্ভিত। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে মৃত্যু। আমাদের দেশ অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ। সেখানে গাড়ি অ্যাকসিডেন্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন রোগে মানুষ মারা যায় কিন্তু করোনাভাইরাসের ভয় ভীতি এবং মৃত্যু বিশ্বের সমস্ত শক্তিকে যেন একেবারে স্থবির করে দিয়েছে। সেই রকম একটা পরিস্থিতিতে আজকে আমরা বসেছি এখানে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে অনেক অনুষ্ঠান আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে করেছি যেখানে লোকসমাগম কম হয়, পাশাপাশি অন্যান্য অনুষ্ঠান। কারণ একদিকে মানুষকে বাঁচানো আবার আরেকদিকে মানুষের খাবারের ব্যবস্থা চিকিৎসা ব্যবস্থা; সেগুলো যাতে ঠিক থাকে, চলমান থাকে সেদিকেও বিশেষ দৃষ্টি রাখছি। সেদিকেও লক্ষ্য রেখে বিশেষ কর্মসূচি করে যাচ্ছি। তারপরও বলব যে আমি বারবার মানুষের কাছে যাই এই কারণে। ডিজিটাল পদ্ধতি আছে বলে আমি যেতে পারছি, কথা বলতে পারছি। দেশবাসীকে বলবো স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য যা নির্দেশনা তা মেনে নিজের জীবনকে চালাতে হবে। নিজেকে সুরক্ষিত রাখা মানে অপরকেও সুরক্ষিত রাখা। সেটাও মাথায় রাখতে হবে। সেটাই যেন সবাই করে।
এসএসএফ’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাহিনী সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ এবং আনসার ও ভিডিপি সকলের মিলিত একটি সংগঠন। যেহেতু সকলের মিলিত একটি সংগঠন এখানে একে অপরকে জানার সুযোগ আছে, বোঝার সুযোগ আছে, কাজ করার সুযোগ আছে। আমি মনে করি এটা চমৎকার একটি কম্বিনেশন।
এসএসএফ সদস্যদের তুমি সম্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তোমরা তো এখন আমার ছেলে ও নাতির বয়সী। তোমরা যেমন আমার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করো। আমি তেমন তোমাদের নিরাপত্তার জন্য সব সময় চিন্তা করি। তোমরা সুরক্ষিত থাকো সেটাই আমি চাই। কারণ তোমাদের জীবনের মূল্য অনেক বেশি। আমরা তো বৃদ্ধ হয়ে গেছি। আজ অথবা কাল মৃত্যুর প্রহর গোনার সময় এসে গেছে। কিন্তু তোমাদের তো ভবিষ্যৎ আছে। কাজেই তোমরা নিরাপদ থাকো সেটিই আমার সবসময় চিন্তা।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের পরিকল্পিত আর্থিক প্রণোদনা এবং মানবিক সহায়তার পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। যা জিডিপি’র প্রায় ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। একদিকে মানুষকে বাঁচানো, আবার মানুষের খাবারের ব্যবস্থা, চিকিৎসার ব্যবস্থা, শিক্ষার ব্যবস্থা সেগুলো যাতে ঠিক থাকে সেদিকেও আমরা বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখছি।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হল থেকে মাওলানা হাফেজ মো. সোলায়মান কোরআন তেলাওয়াত করেন। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসএসএফ মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মুজিবুর রহমান। করোনাভাইরাস সঙ্কটে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এএসএফ সদস্যদের একদিনের বেতনের সমপরিমাণ টাকা প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর সচিব তোফাজ্জল হোসেন ত্রাণ তহবিলের চেক গ্রহণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।