ওয়াসার সেবার মান না বাড়িয়ে পানির মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্ট বারের অ্যাডভোকেট তানভির আহমেদ রিটটি ফাইল করেন। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল বেঞ্চে রিটটির শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
রিটে পানি সরবরাহ এবং পয়োনিষ্কাশন আইনের ২২ ধারার দুটি উপ-ধারাকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। অ্যাডভোকেট তানভির আহমেদ জানান, কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে পানির মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না-এই মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে রিটে।
রিটে উল্লেখ করা হয়, গত ১ এপ্রিল থেকে ঢাকা ওয়াসা আবাসিক গ্রাহকদের পানির বিল ২৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। বাণিজ্যিক গ্রাহকের বিল বাড়ানো হয়েছে প্রায় ৮ শতাংশ। পুনঃনির্ধারিত মূল্যহার অনুযায়ী প্রতি হাজার লিটার পানির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ টাকা ৪৬ পয়সা। এটি আগে ছিল ১১ টাকা ৫৭ পয়সা। বাণিজ্যিকে প্রতি হাজার লিটারে ৩৭ টাকা ৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বশেষ গতবছর সেপ্টেম্বরে পানির মূল্য ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়।
পানি সরবরাহ এবং পয়োনিষ্কাশন আইনের ২২ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, উপ-ধারা (২) এর (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মুদ্রাস্ফীতির কারণে পরিচালনা ব্যয় বাড়লে অতিরিক্ত ব্যয় বহনের প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ বোর্ডের অনুমোদনক্রমে উক্ত অভিকর বা চার্জ প্রতি অর্থ বছরে একবার অনধিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত সমন্বয় করিতে পারিবে। উপ-ধারা (৩) এ বলা হয়েছে, ৫ শতাংশের অধিক মুদ্রাস্ফীতিজনিত অথবা অন্য কোনো যুক্তিসংগত কারণে কর্তৃপক্ষের পরিচালনা ব্যয় বৃদ্ধি পাইলে, উক্তরূপ ব্যয় মিটানোর জন্য সরকার, লিখিত আদেশ দ্বারা, কর্তৃপক্ষকে উহার অভিকর বা চার্জের হার, সরকারের অনুমোদন ব্যতিরেকেই, বৃদ্ধি করিবার জন্য ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবে। পানির দাম বাড়ানো সংক্রান্ত এ দুটি উপ-ধারাও ন্যায়সঙ্গত নয়-মর্মে রিটে এটি বাতিল কিংবা সংশোধনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।