Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জোন চিহ্নিত না করেই ছুটি ঘোষণা : বিভ্রান্তি ভোগান্তি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০২০, ৭:১১ পিএম | আপডেট : ৭:১২ পিএম, ১৫ জুন, ২০২০

সরকার করোনাভাইরাস সংক্রমণের মাত্রার উপর ভিত্তি করে লাল (রেড), হলুদ (ইয়োলো) এবং সবুজ (সবুজ) জোন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। করোনা নিয়ন্ত্রণে সংক্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ রেড ও ইয়োলো জোন লকডাউন করে দেয়া হবে।
এর মধ্যে রেড ও ইয়োলো জোন ঘোষণা করা না হলেও নির্ধারিত এই দুটি জোনে সাধারণ ছুটি থাকবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। অনেকেই জানতে চাইছেন, তিনি রেড ও ইয়োলো জোনে পড়ছেন কিনা? তার ছুটি থাকবে কিনা?
সোমবার (১৫ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা নির্দেশনায় রেড ও ইয়োলো জোনে সাধারণ ছুটি থাকবে বলে জানানো হয়েছে। ১৬ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত অফিস, গণপরিবহনসহ অর্থনৈতিক কর্মকা- কীভাবে পরিচালিত হবে এবং কোন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে সেই বিষয়ে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, লাল ও হলুদ অঞ্চলে অবস্থিত সামরিক ও অসামরিক সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি দফতরসমূহ এবং লাল ও হলুদ অঞ্চলে বসবাসকারী বর্ণিত দফতরের কর্মকর্তারা সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ইতোমধ্যে করোনা প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি ঢাকায় ৪৫টি এলাকাকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে তা লকডাউনের সুপারিশ করেছে। এরমধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২৮টি এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৭টি এলাকা রয়েছে। রয়েছে চট্টগ্রামের দশটি এলাকা। গতকাল বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই অঞ্চলগুলো নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে। তবে আজ সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন কিংবা আদেশ জারি হয়নি। রামপুরা এলাকায় বাস করা একজন সরকারি কর্মচারী নাম প্রকাশ না করে বলেন, রামপুরা রেড জোন আওতায় পড়েছে শুনেছি, কিন্তু রামপুরার কোন অংশ পড়েছে তা জানি না, রামপুরা তো একটা বড় এলাকা। এরমধ্যে ছুটির কথাও শুনছি। আমি কী অফিস করব, নাকি ছুটির আওতায় পড়েছি? কিছুই তো বুঝতে পারছি না। উত্তরা এলাকার একজন বাসিন্দাও একই বিষয় জানতে চেয়ে বলেছেন, লক ডাউন এলাকায় পড়লে অফিস যেতে হবে না। কিন্তু আমার এলাকা লকডাউন কিনা তা তো বুঝতে পারছি না। যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা আব্দুল হক বলেন, লক ডাউন হলে তো একটা প্রস্তুতি নিতে হবে। সংসার চলার মতো বাজার করে রাখতে হবে। কিন্তু কিছুই তো বুঝতে পারছি না। সাধারণ মানুষের মধ্যে এখন এ নিয়ে চরম বিভ্রান্তি চলছে। অনেকে খোঁজ খবর করতে গিয়ে অযথা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির ওয়ারি বিভাগের পুলিশ জানায়, কোন কোন এলাকা রেড জোনের আওতায় পড়েছে সে বিষয়ে পুলিশকে এখনও কিছু জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের একজন কর্মকর্তা বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আমাদেরকে নির্দেশনা দিলে আমরা কাজ শুরু করবো। কিন্তু আমরা এখনও কোনো নির্দেশনা পাইনি।
করোনা মোকাবিলায় ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে গত ৩১ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে অফিস খুলে দেয়া হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু হয় গণপরিবহনও। এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যেতে থাকলে সরকার ফের সাধারণ ছুটির দিতে যাচ্ছে না। জোনভিত্তিক লকডাউনের মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে চাইছে সরকার।
গত ৯ জুন দিবাগত রাত ১২টা থেকে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার এলাকাকে পরীক্ষামূলকভাবে ‘রেড জোন’ হিসেবে ঘোষণা করে সেখানে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ১৪ দিনের জন্য এই লকডাউন কার্যকর করা হবে সেখানে।



 

Show all comments
  • Md.Al-Amin ১৫ জুন, ২০২০, ৭:৫৭ পিএম says : 0
    amar basa Jatrabari but amar office Vulta...ami thik bujhte parsi na konta projojjo hobe amar jonno...Jatrabari Red but Vulta to Red na...sob kmn ulta palta lagse...ki korbo ekhon?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ