পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশও করোনা মহামারিতে আক্রান্ত। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা থেকে মুক্তির প্রথম এবং প্রধান উপায় হচ্ছে ব্যাক্তিগত সচেতনতা ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা। করোনা প্রতিরোধ কাজে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের এনজিওসমূহ। করোনা দূর্যোগের শুরু থেকেই এনজিও’রা তাদের সাধ্য মতো করোনা প্রতিরোধে আত্মনিয়োগ করেছে এবং অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে কোভিড ১৯ প্রতিরোধে এনজিওসমূহ প্রায় ২০৮ কোটি টাকার ত্রাণ সহায়তা করেছে।
সোমবার (১৫ জুন) বাংলাদেশে কর্মরত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বা এনজিওসমূহের সমন্বয়কারী সংগঠন ‘এডাব’ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানায়।
এডাব’র পরিচালক একেএম জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এডাব-এর সদস্য সংস্থাসমূহ ছাড়াও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কর্মরত এনজিও’সমূহ তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী মাঠ পর্যায়ে কাজ করে চলেছে। করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে এনজিওসমূহ সারাদেশে বিপুল সংখ্যক লিফলেট বিতরণ, ব্যনার-বিলবোর্ড স্থাপন, গ্রাম্য হাট ও জনবহুল স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা জীবানুনাশক স্প্রে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ১৭ টি কমিউনিটি রেডিও’র মাধ্যমে অব্যাহতভাবে সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করছে। এডাব ও এর সদস্যরা করোনা মহামারিতে ২৩ মার্চ থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত মোট ২৫ দশমিক ৩১ কোটি টাকা জরুরী ত্রাণ সহায়তা কাজে ব্যয় করেছে। যার মধ্যে রয়েছে ১৩ দশমিক ০৬ কোটি টাকা নগদ সহায়তা বাকীটা খাদ্য ও সুরক্ষা সামগ্রী সহায়তা। অন্যদিকে বাংলাদেশ এনজিও সিএসও কোঅর্ডিনেশন প্রসেস এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন অনুযায়ী বিদেশী সহায়তাসহ ২৫ মে পর্যন্ত এনজিওদের ত্রাণ সহায়তার পরিমান প্রায় ১৫৬ কোটি টাকা। ইতোপূর্বে ক্ষুদ্রঋণ পরিচালনাকারী এনজিওসমূহ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২৭ কোটি টাকা দিয়ে দেশের মানুষের প্রতি তাদের আত্মনিবেদনের প্রমাণ রেখেছে। বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে, শুধু অর্থ বা ত্রাণ সহায়তা নয় আইসোলেশান সেন্টার তৈরী, চিকিৎসকদের জন্য ভৌত সহায়তা, যানবাহন সহায়তা ও বিভিন্ন স্থানীয় হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রীও প্রদান করেছে।
ক্রমহ্রাসমান বৈদেশিক সাহায্য ও দীর্ঘদিন স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এনজিওরা নিজেরাই অর্থসংকটে, তারপরও মানবিক দূর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর স্বেচ্ছা প্রণোদনা ও দায়বদ্ধতা থেকেই তারা সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করছে যা টাকার অংকে মূল্যায়ন করা যায় না। এনজিওরা সবসময়ই মাঠপর্যায়ে উন্নয়নকাজে সরকারি বেসরকারি সহযোগিতা ও সমন্বয়ের উপর গুরুত্ব দিয়েছে। করোনা’র মত মহামারিতেও প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন এর সুষ্ঠুসমন্বয় ও সম্মিলিত প্রয়াস, আর তাতেই হবে করোনামুক্তি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।