পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে বিধিনিষেধ তুলে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড চালু করা। দেশের মানুষের প্রাণ বাঁচানোর জন্যই ওই সিদ্ধান্ত সরকারকে নিতে হয়েছে। গতকাল জাতীয় সংসদে সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহর মৃত্যুতে সংসদে আনা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাস সঙ্কট এবং সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা তো বাস্তবতা, করোনার ভয়ে তো মানুষকে না খাইয়ে মারতে পারি না। তাদের বেঁচে থাকার ব্যবস্থাটা নিতে হবে। অর্থনৈতিক কর্মকান্ড চালু রাখার পাশাপাশি ভাইরাস থেকে মানুষের সুরক্ষার জন্য এলাকাভিত্তিক লকডাউন করার বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, কোন কোন এলাকায় বেশি সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে, সেখানে লকডাউন করে তা আটকাচ্ছি। যাতে ওখান থেকে সংক্রমিত না হয়।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সঙ্কটের প্রভাব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, দেশের দারিদ্রসীমা কমিয়ে এনেছিলাম, মাত্র ১০ বছরে ৪০ ভাগ থেকে ২০ ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের জিডিপি বেড়ে গিয়েছিল। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছিলাম। তিনি বলেন, আশা ছিল মুজিববর্ষ উদযাপন করব। কিন্তু এ সময় এক অদৃশ্য শক্তি, করোনাভাইরাস যা কেউ চোখে দেখতে পারে না, বুঝতেও পারে না। সারা বিশ্বটাকে স্থবির করে দিল, সারাবিশ্বে যেন কেমন একটা অস্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি করল।
তিনি বলেন, একটা আতঙ্ক-ভয়-ভীতি, মৃত্যু আতঙ্ক যেন সারা বিশ্বকে পেয়ে বসেছে। এটাই হচ্ছে অদ্ভুত ব্যাপার। এ ধরনের পরিবেশ আগে আমরা আর কখনো দেখিনি। এই সঙ্কটের মধ্যে সংসদে যোগ দেয়ার বিষয়েও নিষেধ শুনতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আমি সংসদে আসব কিন্তু আমাকে অনেক জায়গা থেকে নিষেধ করা হয়েছে। ভীষণভাবে বাধা দেয়া হয়েছে, না না আপনি যাবেন না, নেত্রী যাবেন না। আমি বললাম গুলি, বোমা, গ্রেনেড কত কিছুইতো মোকাবেলা করে এ পর্যন্ত এসেছি। এখন কী একটা অদৃশ্য শক্তি তার ভয়ে ভীত হয়ে থাকব আর পার্লামেন্টের মেম্বার, আওয়ামী লীগের পরিবারের একজন সংসদ সদস্য তাকে হারিয়েছি আর কেবিনেটের একজন সদস্য তাকে হারালাম আর সেখানে আমি যাব না! এটা তো হয় না।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস যে পুরো বিশ্বকেই বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে। এই আতঙ্কটা এমন পর্যায়ে চলে যাচ্ছে যেটা সত্যি খুব দুঃখজনক। উন্নত দেশ, অনুন্নত দেশ বা উন্নয়নশীল দেশ, অস্ত্রের দিক থেকে শক্তিশালী, অর্থের দিক থেকে শক্তিশালী অথবা হয়ত দরিদ্র রাষ্ট্র- কোনো ভেদাভেদ নেই। সব যেন এক হয়ে গেছে এক করোনাভাইরাসের ভয় এবং আতঙ্কে। সব জায়গায় কিন্তু একই অবস্থা।
তিনি বলেন, আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি মানুষকে বোঝাতে যে আপনারা অন্তত একটু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন। এটা খুব সাংঘাতিক একটা সংক্রামক ব্যাধি। সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য দেশবাসীকে বলছি।
দুই মাসের লকডাউনের পর এখন করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের কৌশল ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জীবনযাত্রা যাতে চলে, সেই ব্যবস্থা তো করতে হবে। আমরা ঠিক করেছি, কোন কোন এলাকায় বেশি দেখা যাচ্ছে সেটা লকডাউন করা। সেটা আমরা আটকাচ্ছি। সেখান থেকে যেন সংক্রমণ না হয়। সাথে সাথে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডও যেন সচল থাকে সেদিকে ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা একটা বাজেটও দিতে সক্ষম হয়েছি। এই কাজগুলো যখন করছি সেটা এক ধরনের যুদ্ধ। সেই সময় যাদের সব সময় কাছে পেয়েছি তাদের দু’জনকে হারানো অত্যন্ত কষ্টকর।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, নেতা-কর্মীদের মৃত্যুতে পাশে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য কিন্তু এই সঙ্কটের সময়ে সেটাও সম্ভব হচ্ছে না। আওয়ামী লীগের যে কোনো একজন কর্মী মারা গেলে ছুটে গিয়েছি। জানাজায় অংশ নেয়া, ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো, পরিবারের সঙ্গে দেখা করা। কিন্তু এখন এমন একটা অস্বাভাবিক পরিবেশ, সেটা আর করতে পারছি না। পরিবারের সদস্যদের সাথে একটু দেখা করা, তাদেরকে একটু সান্ত¦না দেয়া, সেই সুযোগটা পেলাম না, এটা সব থেকে কষ্টকর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।