পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে এডিস মশা নিধনে ঢাকা দুই সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলছে। অভিযানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাসা-ভবন মালিকদের লাখ লাখ টাকা জরিমানা করা হচ্ছে। তবুও মালিকদের অসচেতনতার কারণে কমছে না ভবনে মশার বংশ বিস্তার উপযোগী পরিবেশ। গত ৮ দিনের অভিযানে প্রায় ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হলেও এখনো বিভিন্ন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
পরিবেশবিদরা বলছেন, শুধু অভিযান চালিয়ে এডিস মশার বংশবিস্তার রোধ সম্ভব নয়। এ জন্য সবাইকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। অভিযানের পাশাপাশি বাসা, ভবন, স্থাপনার মালিকরা যদি সচেতন না হন, তাহলে শুধু অভিযান পরিচালনা করে লাভ নেই। এজন্য সবাইকে সচেতন হওয়া জরুরি। না হলে এডিস মশার প্রকোপ থেকে নগরবাসীকে নিরাপদে রাখা সম্ভব নয়।
গত ৬ জুন থেকে গত শনিবার পর্যন্ত ৮ দিনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫৪টি ওয়ার্ডে মোট ১ লাখ ৭ হাজার ৬২৮টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে মোট ১ হাজার ২৬৯টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ৭৪ হাজার ৩০৯টি বাড়ি-স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ ৮ দিনে মোট ১৫ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ভবন মালিক বা ব্যবহারকারীদের অসচেতনতা কারণে বাড়ছে জরিমানা তবুও কমছে না ভবনে মশার বংশ বিস্তার উপযোগী পরিবেশ।
ডিএনসিসির গত ৮ দিনের অভিযান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৬৯ শতাংশ বাড়ি ও নির্মাণাধীন স্থাপনায় এডিস মশার বংশ বিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেছে। আর এডিস মশার লার্ভা নির্মাণাধীন ভবনে বেশি পাওয়া গেছে। অর্থাৎ নির্মাণাধীন ভবনগুলো যেন এডিস মশার প্রজনন কেন্দ্র।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) গত ৮ জুন থেকে মশার ওষুধ ছিটানোসহ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কর্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে কর্তব্যে অবহেলার জন্য মেয়র একজনকে চাকরি থেকে বরখাস্তও করেছেন। মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস নগরবাসীকে ডেঙ্গু মুক্ত রাখতে দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন জলাশয় ও নর্দমা পরিস্কার করে সেখানে মৎস্য চাষেরও ঘোষণা দিয়েছেন ।
অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) চিরুনি অভিযান গত ৮ দিন ধরে চলমান রয়েছে। ডিএনসিসির আওতাধীন প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিদিনই প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি বাড়ি-স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাসা-ভবন মালিকদের সতর্ক করে দেয়ার পাশাপাশি আদায় করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকা জরিমানা। তবুও মালিকদের অসচেতনতার কারণে কমছে না ভবনে মশার বংশ বিস্তার উপযোগী পরিবেশ।
ডিএনসিসির অভিযান পরিচালনাকারী একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। যখন বাড়ি-ভবন স্থাপনায় যাচ্ছি সেগুলোতে মশার বংশ বিস্তারের পরিবেশ পাওয়া যাচ্ছে। কোন পাত্রে তিন দিন পানি জমে থাকলে এডিস মশা জন্ম নিতে পারে। তাই শুধু নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করেও নগরবাসীকে এর প্রকোপ থেকে রক্ষা করা কঠিন হবে। এজন্য সবাইকেই নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরিফ জামিল বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন দেরিতে হলেও যে অভিযান শুরু করেছে তাতে নগরবাসী কিছুটা হলেও স্বস্তিবোধ করছে। তবে সিটি কর্পোরেশনের এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানের পাশাপাশি নাগরিক হিসাবেও প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হতে হবে। যদি নিজেরা নিজেদের বাড়ির আঙ্গিনা, ছাদ, বাগান নিয়মিত পরিষ্কার করি তাহলে মশাবাহিত রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।