পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। চলিত জুন মাসে প্রতিদিন গড়ে ১৭০ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে। আর ঘণ্টায় শনাক্ত সাত জন। প্রতিদিন গড়ে তিনজনের মৃত্যু হচ্ছে করোনায়। ব্যাপক সামাজিক সংক্রমণের মধ্যেও নমুনা টেস্ট এবং চিকিৎসাসেবায় সঙ্কট কাটছে না।
হাসপাতালে ছুটতে ছুটতেই মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। বিশেষ করে আইসিইউ এবং অক্সিজেন সাপোর্টের অভাবে মৃত্যু বাড়ছে। করোনা ছাড়াও উপসর্গ এবং অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্তরা চিকিৎসা ছাড়া মারা যাচ্ছেন।
শনিবার রাত ১১টায় জেনারেল হাসপাতালে মারা যান সীতাকুন্ড উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা প্রকৌশলী মো. শাহ আলম। টানা তিনদিনের চেষ্টায় কোন আইসিইউ মিলেনি। করোনা টেস্টের রিপোর্ট না পাওয়ায় বেসরকারি কোন হাসপাতাল তাকে ভর্তি নেয়নি। শনিবার সকালে করোনা পজেটিভ রিপোর্ট হাতে পাওয়ার আগেই তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শেষ সময়ে আইসিইউ পেলেও তাকে বাঁচানো যায়নি।
উপসর্গ নিয়ে গতকাল মা ও শিশু হাসপাতালে মারা যান ডা. সাদেকুর রহমান। তাকেও আইসিইউর জন্য ছুটতে হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপসর্গ নিয়ে মারা যান তরুণ চিকিৎসক আফির হাসান। তিনিও সময়মতো আইসিইউ পাননি বলে তার পরিবারের অভিযোগ। সাধারণ রোগীদের অবস্থা আরও নাজুক। আইসিইউ এবং অক্সিজেন সাপোর্টের জন্য হাহাকার চলছে। রোগীর স্বজনদের করুণ আহাজারি থামছে না।
এরমধ্যেই সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় আরো ২৬৯ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। রোগীর সংখ্যা এখন পাঁচ হাজার ৮৪ জন। গেল ৩১ মে এ সংখ্যা ছিলো দুই হাজার ৮৬৭। অর্থাৎ চলতি মাসের প্রথম ১৩ দিনেই শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ২১৭ জন। দিনে ১৭০ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে। গেল ১৩ দিনে গড়ে মারা গেছেন তিনজন করে। প্রথম রোগী শনাক্ত হয় ৩ এপ্রিল। ওই দিন থেকে ৩১ মে পর্যন্ত দিনে গড়ে ৪৭ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। মারা গেছেন দিনে একজন।
সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শনান্তের হার বাড়ছে। তাছাড়া এখন নমুনা পরীক্ষাও বেড়েছে। আগে দিনে পাঁচশর কম নমুনা পরীক্ষ হতো এখন দিনে আটশর বেশি পরীক্ষা হচ্ছে। করোনা টেস্টের ল্যাবও বেড়েছে। গতকাল আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১১৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন প্রায় দুই হাজার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।