পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এক এগারোর সময় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিমের উপর নির্যাতন চালানোর ফলে জেলখানাতে ব্রেন স্ট্রোক করেছিলেন তিনি। সে সময় সালমান এফ রহমানের এ্যম্বুলেন্সে করে নাসিমকে হাসপাতালে নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, স্ট্রোক করে নাসিম পড়েছিলেন, এ্যম্বুলেন্স থাকার কারণে তাকে হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হয়েছিল, ফলে সে সময় তিনি বেঁেচ যান।
আজ রোববার (১৪ জুন) সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এবং ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়। এর আগে সব প্রস্তাবের ওপর সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য আলোচনায় অংশ নেন। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরকম ঘটনা দুই জনের বেলায় ঘটেছিল, মোহাম্মদ নাসিম এবং মহিউদ্দিন খান আলমগীরের। সেময় সালমান এফ রহমানও জেলখানায় ছিলেন। বেক্সিমকো যেহেতু সালমানের তাই তার ছেলে সব সময় জেলাখানার সামনে একটি এ্যম্বুলেন্সে মজুদ রাখতো। নাসিম স্ট্রোক করে পড়েছিলেন। তখন জেলখানার সবাই জড়াজুড়ি করে ঐ এ্যম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করেছিল। যে যাত্রায় নাসিম বেঁচে গিয়েছিল। তা না হলে জেলখানায় পড়ে মরে থাকতো। তবে ওই সময় তার শরীরের একপাশ প্যারালাইজড হয়ে যায়। একই ঘটনা ঘটে মহিউদ্দিন খান আলমগীরের সাথে। তিনিও স্ট্রোক করে পড়েছিলেন। তাকেও সালমানের এ্যম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেয়া হয়।
আবেগাপ্লুত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসলে আমার জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে বলতে, এভাবে সবাইকে হারানো আমার জন্য দুঃখজনক। করোনা এমন একটা অস্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে যে আমাদের দলের কেউ মারা গেলে তার পরিবারের কাছে ছুটে যাবো, একটু সান্ত¡না দেবো, সেই সুযোগ পাচ্ছি না। আজ সংসদে আসার সময় আমাকে অনেক জায়গা থেকে সংসদে না আসতে নিষেধ করা হয়েছে।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে দিনের কার্য সূচিভুক্ত সব কার্যক্রম স্থগিত করে সম্পূরক কার্যসূচির অংশ হিসেবে শোক প্রস্তাব তোলা হয়। প্রস্তাবটি স্পিকার নিজেই সংসদে তোলেন। এসময় স্পিকার দুই নেতার কর্মময় জীবনী তুলে ধরেন। পরে তার ওপর আলোচনা হয়।
দুই নেতাকে স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি দেশে ফেরার পর পদে পদে আমাকে বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এসময় যে দু’জনকে আমি সব সময় পাশে পেয়েছি একই দিনে তাদের হারালাম।
বিশ্বের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস আক্রান্ত উন্নত-অনুন্নত দেশের সবাই ভয়ে আছেন। এই আতঙ্কটা এমন পর্যায়ে চলে যাচ্ছে যেটা দুঃখজনক। তবে যে এলাকাটায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে আমরা সঙ্গে সঙ্গে সেখানে লকডাউন করছি। মানুষের জীবনযাপন যেন স্বাভাবিক থাকে সেই ব্যবস্থা নিয়েছি।’
শোক প্রস্তাবের ওপর অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, শেরপুর-২ আসনের বেগম মতিয়া চৌধুরী, মুন্সীগঞ্জ -৩ আসনের মৃণাল কান্তি দাস, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের ডা. হাবিবে মিল্লাত, ঢাকা-৫ আসনের কাজী ফিরোজ রশীদ ও সাতক্ষীরা-২ আসনের মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।
পরে মরহুম দুই নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সংসদে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। এর আগে তাদের স্মরণ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন। চলতি সংসদের কোনও এমপি মারা গেলে সংসদের রেওয়াজ অনুযায়ী ওই সংসদ সদস্যকে স্মরণ করে সংসদে আলোচনা হয়। পরে বৈঠক সোমবার (১৫ জুন) সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।