পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সারাদেশেই ধানের দাম বেড়েছে। ফলে কৃষকের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। এক সপ্তাহ আগে বাজারে যে ধানের মণ ছিল ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, সে ধান এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা। মাত্র ছয় সাত দিনের ব্যবধানে ধানের দাম প্রতি মণে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ধানের দাম আরও বৃদ্ধি পাবে অনেকে এমনটা মনে করছেন।
ধানের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার, মিলার, বেপারী ও মজুদদাররা একসঙ্গে ধান কিনতে বাজারে নেমেছে। এ জন্য হঠাৎ করে ধানের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এছাড়া করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেক কৃষক ধান বিক্রি করছে না। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, সামনে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। আমনের আবাদ ঠিক মতো করতে না পারলে নিজেদের খাওয়ার ধানও থাকবে না। এ কারণে এখনই ধান বিক্রি করতে চাইছেন না তারা। ফলে ভর মৌসুমে বাজারে যে পরিমাণ ধান ওঠার কথা সে পরিমাণ ওঠেনি। সেজন্য বাজারে ক্রেতা বেশি, ধানের যোগান কম। এ কারণে বাড়ছে ধানের দাম।
জাতিসংঘ এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডবিøউএফপি) বলেছে, বিশ্বে করোনাভাইরাসের প্রভাবে বড় আকারের দুর্ভিক্ষ হতে পারে এবং এতে প্রায় তিন কোটি মানুষ অনাহারে প্রাণ হারাতে পারে। মিলার ও মজুদদাররা খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কা থেকে বেশি লাভের আশায় ধান কিনে মজুদ করছে।
শেরপুর বাজারের ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, ঈদের আগের তুলনায় ধানের বাজার হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। করোনার কারণে বাইরে থেকে চাল আনা সহজ হবে না এমনটা মনে করে অনেকে প্রচুর ধান-চাল কিনে মজুত করেছে। যেন সময় বুঝে তা বাজারে ছেড়ে অধিক মুনাফা অর্জন করা যায়।
শেরপুরের যমুনা সেমি অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী আইয়ুব আলী বলেন, সব জাতের ধানের দাম মণপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে আঠাশ, কাজললতা ও মিনিকেট (সরু) জাতের ধানের দাম এখন অনেক বেশি। যে ধান গত বছর এই সময়ে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা মণ ছিল এখন তা হাজারে ঠেকেছে। পাশাপাশি সরু ধান গত বছর এই সময়ে ৮০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হলেও এখন এক হাজার ১০০ টাকার বেশি বিক্রি হচ্ছে। ধানের দাম আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, মোকামে আঠাশ জাতের ধানের মণ এখন হাজার টাকা, উনত্রিশ জাতের ধান ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, কাজললতা ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা, কাটারী ভোগ ১১০০ টাকা, মিনিকেট প্রতি মণ ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরকার, মিল মালিক ও মজুদদাররা এক সঙ্গে ধান কিনছে। সরকার যে রেট দিয়েছে তার চেয়ে বাজারে ধানের দাম বেশি। যে কারণে সরকার এখন আর ধান কিনতে পারছে না। ধান কেনার জন্য সরকার যে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে এখন পর্যন্ত তার ১০ ভাগ ধান কেনা সম্ভব হয়নি।
নেত্রকোণার মদনের বাস্তা গ্রামের কৃষক কিবরিয়া জানান, তিনি এবং তাদের গ্রামে অনেক কৃষকই এখন আর ধান বিক্রি করছেন না। কারণ সামনে বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেক্ষেত্রে আমন ধান কতটুকু করতে পারবেন তা অনিশ্চিত। তাছাড়া করোনা মহামারি আরও দীর্ঘ হলে সরকার বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে পারবে না। যদি আমদানি না হয় তাহলে চালের দাম আরও বাড়বে। আর তখন ধানের দামও বাড়বে। এখন কম দামে ধান বিক্রি করলে তখন অনেক বেশি দামে চাল কিনতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।