Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাজেট ইতিবাচক-বিটিএমএ’র প্রতিক্রিয়া

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০২০, ৮:১১ পিএম | আপডেট : ৮:২১ পিএম, ১৩ জুন, ২০২০

প্রস্তাবিত বাজেটকে ইতিবাচক বলেছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। বিটিএমএ পরিচালনা পরিষদের পক্ষে সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন স্বাক্ষরিত শনিবার (১৩ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেছে। তাদের মতে, করোনার সংকট থেকে উত্তরণ ও দেশের শিল্পখাতকে সচল রাখার লক্ষ্যে প্রণোদনা অব্যাহতসহ কতিপয় কর হ্রাসের প্রস্তাব ইতিবাচক। এ জন্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে বিটিএমএ’র পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

বৈশ্বিক অর্থনীতির মন্দার প্রভাবে আমাদের সামগ্রীক ম্যানুফ্যাকচারিং খাতসহ রপ্তানিমুখী টেক্সটাইল মিল ও স্থানীয় চাহিদা পূরণের জন্য যে সকল টেক্সটাইল মিল সূতা ও কাপড় তৈরী করে ওই সব শিল্প প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সক্ষমতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

করোনার প্রেক্ষাপটে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি ও লক ডাউনের কারণে বৈশাখের বাজার, ঈদুল ফিতর সংশ্লিষ্ট যাকাতের বাজার হারানোর প্রেক্ষিতে সৃষ্ট ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি আর্থিক ক্ষতি লাঘবে সকল ধরনের সূতার উপর থেকে মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছিল। বাজেট প্রস্তাবনায় প্রতি কেজি কটন সূতার উপর ৪ টাকার স্থলে ৩ টাকা ধার্য্য করা হয়েছে। এ জন্য অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

তবে কৃত্রিম আঁশের দ্বারা তৈরী সূতার প্রতি কেজিতে সুনির্দিষ্ট মূল্য সংযোজন কর ৬ টাকা ধার্য্য করা হয়েছে। আমরা মনে করি এর ফলে সংশ্লিষ্ট মিলগুলোর জন্য তা কোন সুফল বয়ে আনবে না। এক্ষেত্রে প্রস্তাবটি পুনঃবিবেচনা করে কৃত্রিম আঁশের দ্বারা তৈরী যে কোন সূতার উপর প্রতি কেজিতে ২ টাকা মূসক ধার্য করার অনুরোধ করে বিটিএমএ। কেননা দীর্ঘদিন পর টেক্সটাইল মিলগুলো চালু হলেও করোনাভাইরাস জনিত পরিস্থিতিতে সূতার রপ্তানি আদেশ মূলতঃ নেই বললেই চলে। সূতার মোকামগুলোতেও ক্রেতা শুণ্য।

অর্থমন্ত্রীর কৃত্রিম আঁশের দ্বারা তৈরী সূতার ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্প স্থাপন উৎসাহিত করার জন্য বাজেটে ট্যাক্স হোলিডে সুবিধা প্রদান প্রশংনীয়। এর ফলে বিনিয়োগ বাড়বে। এছাড়াও রপ্তানিমুখী শিল্পখাতের উৎপাদন কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে বন্ডেড ওয়্যার হাউজ ব্যবস্থাপনাকে অটোমেশন করার প্রস্তাব ইতিবাচক যা কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস কমাতে সাহায্য করবে।

বিটিএমএ অনৈতিক বাণিজ্য বন্ধের লক্ষ্যে ও দেশীয় শিল্পের ন্যায্য স্বার্থ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে কতিপয় এইচ এস কোডভূক্ত ফেব্রিকের ট্যারিফ কাঠামো পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু বাজেট প্রস্তাবনায় এর প্রতিফলন নেই। তাই এ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনার জন্য অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।

এছাড়াও করদাতাদের কর হার লাঘবের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত নয় এরূপ কোম্পানীর কর হার ৩৫ শতাংশ থেকে ২ দশমিক ৫ শতাংশ হ্রাস করে ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ শতাংশ ধার্য্য করেছেন। প্রস্তাবটি ইতিবাচক। তবে তৈরী পোশাকসহ সকল ধরনের রপ্তানির মূল্যের উপর উৎসে কর কর্তন শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণের জন্য প্রস্তাবটি কোভিড-১৯ প্রেক্ষাপটে টেক্সটাইল ও তৈরী পোশাকের আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকার জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। এ জন্য অর্থমন্ত্রীকে উৎসে কর কর্তন পূর্বের হারে তথা শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ নির্ধারণের অনুরোধ করছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ