Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাজেট বাস্তবায়নের আশাবাদ অর্থমন্ত্রীর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০২০, ৭:০৮ পিএম | আপডেট : ৭:২২ পিএম, ১২ জুন, ২০২০

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য। অর্থমন্ত্রী বলেন, আশা করি, এ বাজেট আমরা যেভাবে সাজিয়েছি, সেভাবে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবো। আমাদের প্রত্যাশা হলো করোনাকাল বেশি লম্বা হবে না। তার পরেও যদি এই করোনাকাল লম্বা হয়, তাহলে সবাই মিলে একসঙ্গে এই ভারইরাসকে মোকাবিলা করতে পারলে, আমরা আলোর পথের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো। সবাইকে মনে রাখতে হবে, এবারের বাজেট আমরা স্বাভাবিক নিয়মে করতে পারিনি। এটি গতানুগতিক বাজেট নয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এবারের বাজেট দেয়া হয়েছে মানুষকে রক্ষার জন্য। মানুষকে খাবার দিতে হবে। চাকরি হারাদের চাকরি দিতে হবে, চিকিৎসা দিতে হবে। এবারের বাজেটে আমরা এসব গুরুত্ব দিয়েছি। করোনা মোকাবিলায় সরকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এটি অব্যাহত থাকবে। অন্য সময় আমরা আগে আয় করতাম, পরে খরচ করতাম। করোনা আমাদের সেই পুরনা সিস্টেম উল্টে দিয়েছে। করোনা মোকাবিলায় এখন আমরা আগে খরচ করবো, পরে আয় করবো। আমি আশা করি, করোনার এই দুর্দিন বেশি সময় থাকবে না। তার পরেও যদি করোনাকাল দীর্ঘ হয় সেক্ষেত্রেও আমাদের কাছে পথ খোলা রয়েছে। যেহেতু আইএমএফ বলছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করব। ইতোমধ্যে আমাদের ভৌত অবকাঠামো তৈরি করা আছে। সুতরাং আমরা বিশ্বাস করি, ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব। এজন্য বাজেটটি আমরা দিয়েছি বলে উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।

# মানুষকে রক্ষা করতেই এবারের বাজেট, প্রত্যাশা অনুযায়ীই প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য : আ হ ম মুস্তফা কামাল

# ব্যাংক ঋণনির্ভরতায় সমস্যা নেই : গভর্নর

# মোবাইল কলরেট কম তাই শুল্ক বাড়ানো হয়েছে : এনবিআর চেয়ারম্যান

শুক্রবার (১২ জুন) বাজেটোত্তর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান ও জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, এনবিআর চেয়ারম্যান রহমাতুল মুনিম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. সামসুল আলম এবং অর্থ বিভাগের সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সংযুক্ত ছিলেন।

বাজেটটি স্বাভাবিক নয় উল্লেখ করলেও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলছেন, সারাদেশের মানুষ আমাদের নিয়ে কী ভাবে, কী স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশের মানুষ, এগিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের যে প্রত্যয়, সবকিছু আমরা মূল্যায়ন করেছি। আইএমএফ কী বলেছে, বিশ্বব্যাংক কী বলেছে এবং আমাদের আরও দাতাগোষ্ঠী যারা আছে, ইকোনমিক থিংক ট্যাংক যারা আছেন এবং দেশি-বিদেশি সব থিংক ট্যাংকের মতামত নিয়ে আমরা এ বাজেট দাঁড় করাবার চেষ্টা করেছি।

বিশাল বাজেট করার ব্যাখ্যা দিয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমি জানি, এ বাজেটটি ভিন্ন, আগেই বলেছি। যেহেতু স্বাভাবিক পথ আমাদের জন্য ছিল রুদ্ধ, ভিন্ন পথেই আমাদের কাজটি করতে হয়েছে। সেজন্য হয়তো আপনারা দেখবেন, অনেকের কাছে অনেক অসঙ্গতি মনে হবে। কিন্তু উপায় ছিল না আমাদের। অসঙ্গতি হলেও আমাদের কিন্তু উপায় ছিল না। বাজেট না থাকলে কোনো অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে নেয়া যায় না। এখন আমাদের দেশের মানুষ মারা যাচ্ছে, অনেকে না খেয়ে কষ্ট পাবে, যারা চাকরি হারিয়েছেন তারা কষ্ট পাবে, যারা রিকশা শ্রমিক তারা কষ্ট পাবেন। এসব মানুষের কষ্ট দূর করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কোনো সময় নষ্ট না করে দ্রুত ছুটে আসলেন। আমাদের নির্দেশনা দিলেন, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্দেশনা দেন, সেই নির্দেশনা মেনে আমরা যেন সবাইকে সহযোগিতা করি। সেই কাজটি আমরা করে যাচ্ছি।

এবারে বাজেটে দুটি জিনিসকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আমরা বাজেটটি তৈরি করেছি। আমি আবারও বলি, স্বাভাবিক নিয়মে আমরা বাজেটটি করতে পারিনি। স্বাভাবিক নিয়মে না করলেও আমরা চেষ্টা করেছি দুটো জিনিস গুরুত্ব দিতে। একটা হচ্ছে অতীত অর্জন। অতীতে আমরা যা অর্জন করেছি, তা অস্বাভাবিক। গত ১০ বছরে আমরা সারাবিশ্বের সবার উপরে আমাদের জিডিপির গ্রোথ। গত ৫ বছরে আমাদের মাথাপিছু আয় সারাবিশ্বে সেরা। আমাদের সমান ছিল শুধু ভারত ও চায়না। এই অর্জনগুলোকে আমরা বিবেচনায় নিয়েছি। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরে আমাদের নিয়ে সারাবিশ্ব নতুন করে কী ভাবছে, সেটা বিবেচনায় নিয়েছি। সবার মতামত নিয়ে আমরা এ বাজেট সাজিয়েছি।

ব্যাংকের কাছে অনেক টাকা থাকতে হবে, তা নট নেসেসারি (প্রয়োজনীয় নয়) বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি ধরা হচ্ছে এক লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৬ শতাংশ। বিশাল এ ঘাটতি পূরণে ব্যাংক খাত থেকে ৮৪ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার। চলতি (২০১৯-২০) বাজেটে যা ছিল ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। এমন প্রেক্ষিতে ব্যাংকিং খাত থেকে যে বাড়তি ঋণ সরকার নিচ্ছে, তাতে ব্যাংক খাত সঙ্কটে পড়বে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার আগে ব্যাংকিং খাত দেখেছি। আমার আগে ব্যাংকের নন-পারফরমিং লোনের পরিমাণ বেশি ছিল। সে কারণে ব্যাংকগুলো মাঝে মধ্যে লক্ষ্য করতাম, তাদের লিকুইডিটির অবস্থা একটু খারাপ হয়ে যেত। ইদানিং কোনো ব্যাংকের লিকুইডিটি খারাপ, এ কথা শুনিনি। এখন কেউ বলতে পারবে না, ব্যাংকে গিয়ে টাকা পাইনি, ফিরে আসছে। কোনোরকম খারাপ ব্যবহার করেছে গ্রাহকের সঙ্গে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এটা আমার সময় পাইনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেছেন, বাজেটে ঘাটতি পূরণে সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে কোনো সমস্যা হবে না।

গভর্নর বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি পূরণে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ হিসাবে ৮৪ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা নেয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার। এটি তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না। কারণ চলতি অর্থবছরের ইতোমধ্যে সরকার ব্যাংক খাত থেকে ৭৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। কোনো সমস্যা হয়নি। চলতি অর্থবছরে ৮২ হাজার কোটি টাকা নেয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে। এতেও সমস্যা হবে না।

ব্যাংক খাতে বর্তমানে পর্যাপ্ত তারল্য রয়েছে দাবি করে গভর্নর বলেন, গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ব্যাংক খাতে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি নগদ তারল্য উদ্বৃত্ত রয়েছে। এছাড়া রিজার্ভ রয়েছে আরো ৬২ হাজার কোটি টাকা। ফলে ব্যাংক খাতের তারল্য সমস্যা নেই ঋণ নিলে এ খাতের কোনো সমস্যা হবে না।

কনোরাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আর্থিক ক্ষতি মোকাবিলায় সরকারের ঘোষিত প্রণোদনা বাস্তবায়নেও কোনো সমস্যা হবে না জানিয়ে গভর্নর বলেন, ইতোমেধ্য প্রণোদনা বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রি-ফাইন্যান্স হিসাবে পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করে ৪০ হাজার কোটি টাকা দেয়ার হচ্ছে। এছাড়া সিআরআর (ব্যাংকগুলোর নগদ জমা সংরক্ষণ) ছাড় দেয়া হয়েছে এতে ১৮ হাজার কোটি টাকাসহ প্রায় মোট ৭২ হাজার কোটি টাকা সহযোগিতা করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে এতে করে প্রণোদনা বাস্তবায়নে সমস্যা হবে না।

প্রস্তাবিত বাজেটে তবে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক হিসাবের স্থিতির ক্ষেত্রে আবগারি শুল্ক বর্তমানে যা আছে তাই রাখা হয়েছে। তবে ১০ লাখ টাকার বেশি থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত স্থিতি থাকা ব্যাংক হিসাবের আবগারি শুল্ক দুই হাজার ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এক কোটি টাকার বেশি থেকে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত স্থিতির ক্ষেত্রে আবগারি শুল্ক ১২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বাজেটে আবগারি শুল্ক বাড়ানোর বিষয়ে গভর্নর ফজলে কবির বলেন, ১০ লাখ টাকার উপরে ও এর চেয়ে বেশি যাদের আমানত আছে তাদের আবগারি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। তবে ১০ লাখ টাকার নিচে যাদের আমানত তাদের শুল্ক বাড়ানো হয়নি। আর এতে করে আমানতের কোনো সমস্যা হবে না। আগে সঞ্চয়পত্রের কারণে ব্যাংকে আমানতের চাপ কম ছিল তাও এখন আর নেই।

বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সংকট কালে লভ্যাংশ নিয়ে যাচ্ছে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হবে কিনা না জানতে চাইলে গভর্নর বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক লভ্যাংশ নেয়ার বিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ করে না। যদি বিক্রি করে নিয়ে যায় তখন দেখে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, রাজস্ব বোর্ডের জন্য টার্গেট অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করা কঠিন হবেÑ যদি করোনাকাল লম্বা হয়। তবে করোনাকাল লম্বা না হলে এই টার্গেট অর্জন করা অসম্ভব নয়।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে কলরেট অনেক কম তাই অপ্রয়োজনীয় কথা বলার প্রবণতা বেড়ে গেছে। তবে কথা বলার প্রবণতা কমানোর জন্য কলরেটে আরও ৫ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়নি। বরং কলরেট কম তাই মাত্র ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা ব্যয়ের সক্ষমতা মানুষের আছে। তিনি বলেন, আমাদের একটা সমস্যা হচ্ছে কত শতাংশ বাড়ানো হলে সেটা বিবেচনা না করেই এর বিরোধিতা করা হয়। এক্ষেত্রে মাত্র ৫ শতাংশ শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এটাতে মানুষের তেমন ক্ষতি হবে না।

আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, বর্তমানে মোবাইল কলরেটের হার এত কম যে অপ্রয়োজনীয় কথা বলার পরিমাণ বেড়ে গেছে। এতে করে কথা বলতে বলতে ট্রেনের সাথে অ্যাকসিডেন্ট করার ঘটনাও আছে। তবে আমরা কথা বেশি বলাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এ শুল্ক বাড়াইনি। বরং কলরেট খুব কম। তাই এক্ষেত্রে মাত্র ৫ শতাংশ শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) দুর্যোগের মধ্যেই অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা সামনে রেখে ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা’ শিরোনামে ২০২০-২১ অর্থবছরের ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে ৪৪ হাজার ৮১০ কোটি টাকা বেশি। শতাংশ হিসাবে ৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। প্রতিবার বাজেটে ঘাটতি সাধারণত ৫ শতাংশের মধ্যে রাখা হয়। তবে এবার করোনার প্রভাবে প্রথমবারের মতো তা ৬ শতাংশ স্পর্শ করেছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া করবহির্ভূত ও অন্যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে করবহির্ভূত রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হচ্ছে ১৫ হাজার কোটি টাকা এবং কর ব্যতীত প্রাপ্তির পরিমাণ ধরা হচ্ছে ৩৩ হাজার ৩ কোটি টাকা। আয় ও ব্যয়ের এ বিশাল ফারাকের বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৬ শতাংশ। এ বিশাল ঘাটতি পূরণে সরকার বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভর করবে, অংকে যা ৮০ হাজার ১৭ কোটি টাকা। চলতি বাজেটে (সংশোধিত) যা আছে ৫২ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা।

ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকার এক লাখ ৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। অভ্যন্তরীণ উৎস অর্থাৎ ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নিয়ে ঘাটতির বড় একটি অংশ পূরণ করবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। আসন্ন অর্থবছরে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে ৮৪ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা। এছাড়া অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ২০ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য ব্যাংকবহির্ভূত খাত থেকে ৫ হাজার কোটি টাকাসহ মোট ২৫ হাজার কোটি টাকা নিতে চায় সরকার।

চলতি অর্থবছরে ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ছিল ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। পরে চাহিদা বাড়লে এটি বাড়িয়ে ৮২ হাজার ৪২১ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ