Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাজেট বাস্তবধর্মী, গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্প বঞ্চিতই-বিজিএপিএমইএ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০২০, ৫:১৭ পিএম

এশিয় উন্নয়ন ব্যাংকের আশঙ্কায় দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধের পর করোনা মহামারির কারণে পৃথিবীর সকল দেশকে ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলা করতে হবে। জীবন ও জীবিকা সচল রাখার স্বার্থে ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যত পথ পরিক্রমা’ শিরোনামে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের জন্য ৫,৬৮,০০০ কোটি টাকার ব্যতিক্রমধর্মী বাজেট সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে অর্থমন্ত্রী সংসদে বাজেট উপস্থাপন করেছেন। বাজেটে করোনা মোকাবিলা, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা এবং খাদ্য নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্য, কৃষি, শিক্ষা ও খাদ্য খাতে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনীর পরিধি বৃদ্ধিসহ করোনা ভাইরাসের সংক্রমনজনিত কারনে আর্থিক সহায়তা প্রদানের পরিধিও বৃদ্ধি করা হয়েছে। আশাকরি ঘোষিত বাজেট কোভিড-১৯ জনিত কারনে কর্মহীন মানুষ ও সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনীভূক্ত মানুষসহ সকল দরিদ্র জনগোষ্ঠির খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, ক্ষতিগ্রস্থ সকল শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংকট কাটিয়ে উঠতে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। করোনায় জাতীয় ও বৈশি^ক অর্থনৈতিক সংকটকালীন সময়ে স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তার নিশ্চয়তায় পরিস্থিতি ও বাস্তবধর্মী বাজেট উপস্থাপন করায় অর্থমন্ত্রী তথা সরকারকে শুক্রবার (১২ জুন) বিজিএপিএমইএ’র পক্ষ হতে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান সভাপতি মো. আব্দুল কাদের খান।

তিনি বলেন, মহামারিজনিত সংকট বিবেচনা করে বাজেট ঘোষনা করলেও শতভাগ রপ্তানিমূখী ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রকৃতির গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পখাতটি বরাবরের ন্যায় কাঙ্খিত প্রাপ্তি হতে বঞ্চিত হয়েছে। এটি একটি শতভাগ রপ্তানিমূখী খাত। উৎপাদিত পণ্যের শতভাগই ব্যাক-টু-ব্যাক এল/সি এর মাধ্যমে দেশীয় অন্যান্য রপ্তানিকারী খাতের অনুকূলে সরবরাহ হয়ে থাকে। জাতীয় রপ্তানি নীতি, বস্ত্র নীতি ও শিল্প নীতিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ রপ্তানিকারকদের জন্য সমসুযোগের বিধান নির্ধারিত হলেও এ সেক্টরটি কোন সময়ই সমসুবিধা প্রাপ্ত হয়নি। আমরা বাজেটে কর্পোরেট ট্যাক্স অন্যান্য রপ্তানিকারক খাতের ন্যায় ১০-১২ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করলেও ঘোষিত বাজেটে তা পূর্বের ৩৫ শতাংশ হতে কমিয়ে ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আর্থিক সংকট উত্তরণের লক্ষ্যে আমরা কর্পোরেট ট্যাক্স ১২শতাংশ নির্ধারনের সংশোধিত প্রজ্ঞাপনের আবেদন জানাচ্ছি।

মো. আব্দুল কাদের খান বলেন, এ সেক্টরের সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রকৃতির। করোনার কারনে ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রকৃতির শিল্প প্রতিষ্ঠানই সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বিধায় আমরা উৎসে কর বিগত বছরসমূহের ন্যায় শূণ্য দশমিক ২৫ শতাংশ ধার্য্য করে প্রজ্ঞাপনের আবেদন জানাচ্ছি যা ঘোষিত বাজেটে শূণ্য দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

বাজেট প্রতিক্রিয়ায় সংগঠনটির সভাপতি বলেন, করোনা সংক্রমনজনিত ব্যবসায়ীক দূর্যোগের প্রেক্ষিতে সরকারের সকল সেক্টর বিশেষ আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। শতভাগ রপ্তানিমূখী গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং সেক্টর পোশাক শিল্প বা অন্যান্য শিল্প খাতের ন্যায় সুনির্দিষ্ট কোন আর্থিক সহায়তা প্রাপ্ত হয়নি। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে শ্রমিক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি পরিশোধে আর্থিক সংকটে রয়েছে। এ সেক্টরের উৎপাদিত সকল পণ্যই আভ্যন্তরীণ বাজারে ব্যাক-টু-ব্যাক এল/সি এর মাধ্যমে অন্যান্য রপ্তানিকারী খাত বিশেষতঃ পোশাক খাতে সরবরাহ হয়ে থাকে। পোশাক খাতের উৎপাদিত পণ্যে এ খাতের অংশীদারিত্ব ১৫-১৮ শতাংশ। অর্থাৎ পোশাক খাতের রপ্তানি আয়ে এ খাতের শেয়ার ১৫-১৮ শতাংশ। পোশাক খাতের আর্থিক প্রণোদনা পূর্বে ৪ শতাংশ ছিল, যা গত অর্থবছরে অতিরিক্ত আরও ১ শতাংশ বর্ধিত করা হয়েছিল। পোশাক খাতে উক্ত প্রণোদনা ঘোষিত বাজেটে বহাল রাখা হয়েছে। অথচ অত্র সেক্টর পোশাক খাতের পরিপূরক খাত হলে কখনোই এ খাতে রপ্তানি প্রণোদনা প্রদান করা হয়নি। তাই করোনা ভাইরাসের সংক্রমনজনিক দূর্যোগে আর্থিক সংকটের বিষয়টি বিবেচনা করে এ খাতের অনুকূলে আভ্যন্তরীণ রপ্তানির বিপরীতে ১ শতাংশ রপ্তানি প্রণোদনা প্রদানের জন্য অনুরোধ জানান মো. আব্দুল কাদের খান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ