পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনায় আক্রান্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। তবে শারীরিক অন্যান্য সমস্যা ও বয়স বিবেচনায় তাকে এখনই ঝুঁকিমুক্ত বলছেন না চিকিৎসকরা।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ শুক্রবার বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আজ বেশ সকালে ঘুম থেকে উঠেছেন। নিজে থেকে নাশতা করেছেন। তার প্রিয় খাবার আমসত্ত্ব খেতে চেয়েছেন। কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করেছেন। তাকে দেখে গতকাল রাতের চেয়েও ভালো মনে হয়েছে।
গত ২৫ মে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানান জাফরুল্লাহ চৌধুরী। প্রথমে গণস্বাস্থ্যের কিট দিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরে বিএসএমএমইউতে পিসিআর টেস্টেও তার করোনা পজিটিভ আসে।
মো. ফরহাদ বলেন, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সর্বশেষ যে এক্স-রে রিপোর্ট, তাতে তার ফুসফুসের উন্নতি দেখা গেছে। নিউমোনিয়া থেকে তার ফুসফুসে যে ইনফেকশন, তা পর্যায়ক্রমে ধীর গতিতে ভালো হয়ে উঠছে। এর ভিত্তিতেই বলা হচ্ছে যে তার অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
তিনি বলেন, যদিও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ক্ষেত্রে এখনই বলে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই যে তিনি সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত। কারণ ফুসফুস নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়া ছাড়াও তার আরও বেশ কয়েকটি শারীরিক অসুস্থতা আছে। তার বয়স ৭৯ বছর। এটি একটি কারণ। তার কিডনির প্রকট সমস্যা ও রক্তচাপ আছে। এ ছাড়াও, তিনি তো করোনায় আক্রান্ত। সেই কারণে আমরা বলতে পারি, তার পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে, কিন্তু, তিনি এখনো ঝুঁকিমুক্ত নন।
ফরহাদ বলেন, প্রথম অ্যান্টিজেন টেস্টে দেখা গিয়েছিল, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শরীরে করোনাভাইরাসের মাত্রা কমে যাচ্ছে। তিন দিন পরে আবারো টেস্ট করা হয়েছে। সেই টেস্টে দেখা গেছে, তার শরীরে করোনাভাইরাসের মাত্রা আরও কমেছে। কিন্তু, একেবারে দূর হয়ে যায়নি। যখন তিনি সম্পূর্ণরূপে করোনামুক্ত হবেন, তখনই তার ব্যাপারে আমরা আরও ভালোভাবে মন্তব্য করতে পারবো। তবে, এটা খুবই ইতিবাচক দিক যে তিনি নিজে থেকে পছন্দের খাবার খেতে চাচ্ছেন। কারণ, করোনা রোগীর মুখের স্বাদ চলে যায় বলে তারা সাধারণত খাবার গ্রহণ করতে পারে না।
বর্তমানে বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড ও ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বিত বোর্ডের মাধ্যমে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর চিকিৎসা চলছে।
নাসিমের অবস্থা জানতে জাফরুল্লার চিরকুট
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, গলায় ব্যথা থাকার কারণে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী কথা কম বলছেন এবং চিকিৎসকরাও তাকে কথা কম বলতে বলেছেন। যে কারণে প্রতিনিয়ত গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালসহ বাইরের আরও যে বিষয়গুলো নিয়ে তিনি চিন্তা করছেন, চিরকুটের মাধ্যমে লিখে সেগুলোর ব্যাপারে চিকিৎসক, নার্সদের কাছে জানতে চাচ্ছেন।
তিনি বলেন, চিরকুটে লিখে তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটের অনুমোদনের সর্বশেষ অবস্থা ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিমের শারীরিক অবস্থা জানতে চেয়েছেন। পাশাপাশি চিরকুটের মাধ্যমেই সবাইকে বিভিন্ন কাজের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। যেমন, সাধারণ মানুষের জন্য নগর হাসপাতালের প্যাথলজি ল্যাবে জরুরি ভিত্তিতে প্লাজমা কালেকশন মেশিন বসাতে বলেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।