Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সেই যুগ্ম কমিশনার ইমামসহ ৮ কর্মকর্তার বদলি

ডিসি তেজগাঁও হলেন হারুন

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০২০, ১২:০০ এএম

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামকে ‘পার্সেন্টেজ নেয়ার প্রস্তাব’ দেয়া ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (লজিস্টিকস) মো. ইমাম হোসেনকে বদলি করা হয়েছে। গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ইমাম হোসেনসহ যুগ্ম পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার তিন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়।
এর আগে গত ৩০ মে পুলিশ সদর দফতরে পাঠানো এক চিঠিতে ইমামকে বদলির সুপারিশ করেছিলেন কমিশনার। এর মাত্র ১০ দিনের মাথায় তাকে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট-পিওএম) হিসেবে বদলি করা হলো।

বদলি করা বাকি দুই কর্মকর্তার মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (পিওএম) অতিরিক্ত দায়িত্বে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (প্রটেকশন অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি) মোহা. আবদুল মালেককে প্রটেকশন অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগে এবং যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রান্সপোর্ট) মঈনুল হককে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস) হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) পদমর্যাদার ৫ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। বদলিকৃত কর্মকর্তারা হলেন- ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব বিজয় তালুকদারকে ডিসি লালবাগ, প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড ওয়ার্কশপ বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে ডিসি তেজগাঁও, লালবাগ বিভাগের ডিসি মুনতাসিরুল ইসলামকে ডিসি লজিস্টিকস, লজিস্টিকস বিভাগের ডিসি মো. জিয়াউল আহসান তালুকদারকে ডিসি পিওএম-পশ্চিম ও পিওএম-পশ্চিম বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে ডিসি প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড ওয়ার্কশপ হিসেবে বদলি করা হয়েছে। গতকাল ডিএমপি কমিশনার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ বদলি করা হয়।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ১০ জুন, ২০২০, ১০:০৩ পিএম says : 0
    এই বদলী দেখে আশ্চার্য হবার কিছুই নেই কারন এখানে হারুন অর রশীদ মিয়া যখন নারায়ণগঞ্জে পুলিশ সুপার ছিলেন তখন তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতির নিকট চাঁদা চেয়েছিলেন। সেই চাঁদা না দেয়াতে শিল্পপতিকে ধরে আনার জন্যে নারায়ণগঞ্জ থেকে গুলশানে পুলিশ পাঠিয়ে তাঁকে না পেয়ে তার স্ত্রী ও পুত্রকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। এটা প্রচারিত হবার পর রশীদ মিয়ার এই কুকর্মের জন্যে তাকে সাজা হিসাবে বদলী করা হয়েছিল মাত্র। এরপর ছয়মাস অতিবাহিত হয়েছে এবং পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়েগেছে কাজেই পুলিশ প্রশাসন রশীদ মিয়ার সাজার বিষয় একেবারেই ভুলে গেছে পকেট বানিজ্যের...... এখন তিনি যথারিত নিয়ম অনুযায়ী ডিএমপিতে বদলি হয়েছেন। এখানে একটা বিষয় পরিষ্কার করা দরকার সেটা হচ্ছে, পুলিশের কাছে কোন রাজনৈতিক দলের প্রধান্য নেই এটাই সত্য। পুলিশ তাদের স্বার্থের জন্যে বর্তমানের সরকারি দল আওয়ামী লীগের বিপক্ষে অবস্থান নেয় এর প্রচুর প্রমাণ আছে। আবার পুলিশের পকেট বানিজ্যের স্বার্থ রক্ষা করলে পুলিশ বিএনপি এমনকি জামাতের হয়েও আওয়ামী লীগের লোকজনদেরকে নাজেহাল করে তারও প্রমাণ প্রচুর রয়েছে। কাজেই কোন একটা বিশেষ রাজনৈতিক দলকে পুলিশের কর্যকলাপের জন্যে দায়ী করা ঠিক নয়। পুলিশের এহেন কাজের জন্যে বাংলাদেশের সব কয়টা রাজনৈতিক দলই দায়ী বলে নিন্দুকদের মন্তব্য। এদের এসব কাজ দেখলেই মনে পরে জিয়া মিয়ার শাসন আমলের কথা। জিয়া মিয়া ’৭৫ সালে ক্ষমতায় আসার পর তার ইচ্ছা “I will make politics difficult” এটাকে বাস্তবায়িত করার জন্যে প্রশাসন থেকে পুলিশকে আলাদা করে পুলিশকে আলাদা মর্যাদা দিয়েছিলেন। জিয়া মিয়ার আমলের আগে জেলার পুলিশ সুপারের সার্ভিস বুক লিখতেন জেলা প্রশাসক। আলাদা হওয়াতে সেটা বন্ধ হয়েছে এতে করে তারা উভয়ই নিজ নিজ বিভাগে জেলার প্রধান কর্মকর্তা হলেন। এরপর জেলা প্রশাসককে পুলিশ সুপারের কৈফিয়ত দিতে হয়না। ফলে তারা অন্যের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত হয়ে নিজেরাই নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। আগে তাদের সার্ভিস বুক প্রশাসনের হাঁতে থাকায় তারা সম্পূর্ণ ভাবে নিয়ন্ত্রিত ছিল। নিন্দুকেরা বলছেন, তারা (পুলিশ) লাগাম হীন হওয়াতে তাদের খেয়াল খুশী মতই সবকিছু করে থাকে এবং করবে এতে কোন সন্দেহ নেই। সর্বজন প্রচারিত যে, তারা (পুলিশেরা) নিজের জন্যে নিজেরা খুবই মিল মহব্বতের সাথেই থাকেন কারন পুলিশের পকেট বানিজ্য নির্ভর করে নিচের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হাতে যার ভাগ উপরের কর্মকর্তারাও পেয়ে থাকেন। ফলে এই লেনদেন খোলাখুলি হওয়াতে তাদের মধ্যে সমঝতা হয়ে যায়। কাজেই তারা একে অপরের প্রতি দায়বদ্ধ থাকে সেজন্যে কেহই (এদের বাহিরে) এদের কোন কিছুই করতে পারেনা। সেজন্যেই দেশের সাধারণ জনগণ পুলিশের হাঁতে জিম্মি হয়ে আছে। এখন আমাদেরকে মহান আল্লাহ্‌র দরবারে প্রার্থনা করতে হবে তিনি যেন বাংলাদেশে যারা পুলিশের নিয়োগ দেন তারা যেন সেই নিয়োগের পরিবর্তে কোন রকম উপহার গ্রহণ না করেন। সাথে আল্লাহ্‌ যেন পুলিশদেরকে সত্য বলা ও সততার সাথে চলার ক্ষমতা প্রদান করেন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ