Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শত মুক্তিযোদ্ধার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা’

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০২০, ৮:৫৯ পিএম

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার আলোকে রচিত হয়েছে ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা’। বরগুনা জেলার ১০০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার আলোকে গ্রন্থটি প্রকাশ করা হচ্ছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
বরগুনা জেলা প্রশাসন বলছে, ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা’ মুজিববর্ষের অনন্য উপহার। আগামীকাল বুধবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গ্রন্থটির মোড়ক উম্মোচন করা হবে।
‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা’ সম্পর্কে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ ইনকিলাবকে বলেন, উপকূলীয় জেলা বরগুনার রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জল ইতিহাস। এ জেলায় রয়েছে ৯নং সেক্টরাধীন বুকাবুনিয়া সাব সেক্টর। যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে হয়তো একদিন বিস্মৃত হয়ে যেতো মুক্তিযুদ্ধের বর্ণিল ঘটনা। তাই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার আলোক রচিত ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা’ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুজিববর্ষের অনন্য উপহার। এই স্মৃতিকথা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিকট বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মহান আত্মত্যাগের চিত্র তুলে ধরবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের অকাট্য দলিল হিসেবে সমৃদ্ধ করবে বাংলাদেশের ইতিহাস এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সহায়ক হবে।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার প্রায় পঞ্চাশ বছর অতিক্রান্ত হচ্ছে। সময়ের কঠিন বাস্তবতায় আমাদের অকুতোভয় প্রাণ বীর মুক্তিযোদ্ধারা হারিয়ে যাচ্ছেন। তাই তাদেরকে সময়ের সাথে স্মরণীয় করে রাখতে হবে। তাদের রণাঙ্গনের বীরত্বগাথা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিকট তুলে ধরতে হবে। এ লক্ষ্যেই এই প্রকাশনা।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-সম্পাদক, বরগুনার সন্তান খাদিমুল বাশার জয় বলেন, নিঃসন্দেহে এটি একটি অবিস্মরণীয় উদ্যোগ। দিন দিন মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তাদের স্মৃতি ও অভিজ্ঞতা ডকুমেন্ট আকারে সংরক্ষণ করা জেলা প্রশাসনের মহৎ উদ্যোগ। এতে করে জেলার প্রতিটি শিক্ষার্থী নিজ জেলার মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা’ দেশের সকল মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, গণ গ্রন্থাগার, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থাগার এবং জেলার মোট ১৫৭০টি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় সরবরাহ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ