পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের মানুষকে করোনা চিকিৎসা সেবা দিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আসা ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে তুমুল তর্ক-বিতর্ক চলছে। গতকাল রবিবার (৭ জুন) বিশেষ ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরা ১২৮ জনের মধ্যে তাকে ছাড়া সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে তোলপাড় শুরু হয় ফেইসবুকে। কেউ তার দেশে আসাকে স্বাগত জানিয়েছেন। আবার অনেকেই তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সামনে এনে ও দেশে ফেরার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
দেশে ফেরার পর যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসক ফেরদৌস খন্দকারকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি মহাখালীতে অবস্থিত ব্র্যাক ট্রেনিং সেন্টারে কোয়ারেন্টিনে আছেন বলে জানা গেছে।
ডা. ফেরদৌস খন্দকারের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্বারে। তিনি বাংলাদেশে আসার ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই তুমুল তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। তাকে নিয়ে ক্ষমতাসীনদের মধ্যেও বিভক্তি দেখা গেছে। কেউ কেউ তার সম্পর্কে ফেইসবুকে লিখছেন, তিনি নাকি বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদের ভাতিজা। তার এই পরিচয় নিয়েও ব্যাপক বিতর্ক দেখা দেয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ফেইসবুকে মোহাম্মদ নুরুল আমিন লিখেছেন, ‘‘একটা প্রশ্ন, আমেরিকা কি করোনা শূন্য? তাহলে উনি আমেরিকা ছেড়ে দেশে এলেন কেন?জানি না, উনার আগমন রিয়েলি দেশ প্রেম না অন্য কিছু! যদি দেশ প্রেম হয়ে থাকে, স্যালুট।’’
মারাহিম লিখেছেন, ‘‘আরে ভাই আমেরিকার করোনার যুদ্ধা যারা তারা কি ১৬/১৮ ঘন্টার ডিউটি করে আবার ফেসবুকে বকবকানীর সময় পায় একবার ভাবুন তো! আর আমেরিকা কি এখন করোনা মুক্ত?’’
ফাহিম সরওয়ার অসীম লিখেছেন, ‘‘আপনি স্বদেশে পা রাখার জন্য আপনাকে স্যালুট জানাই।ভাগ্যের নির্মম পরিহাস আপনি আবার নিজ কর্মস্থলে চলে যান সেখানে গিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশী যারা আছে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা করেন।’’
জাহির উদ্দিন লিখেছেন, ‘‘ডাক্তার ফেরদৌস সাহেব প্রতিদিন প্রায় ১ ঘন্টা লাইভে কথা বলেন প্রতিদিন উনাকে ফুরফুরে দেখা যায়। উনি যদি সারাদিন সেবা দিয়ে থাকেন উনি তো ক্লান্ত থাকার কথা। আর উনি নাকি বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা দেন তাহলে হাসপাতালে চিকিৎসা কখন দেন?’’
বাহার লিখেছেন, ‘‘ওনি দেশে বা আমেরিকায় কি চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন বা দিবেন তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
কিন্ত এই কুতর্ক কেন, কার আত্মীয় কিংবা কোন দলের। এই মহামারীতেও আমরা মানুষ হলাম না!’’
মুরাদ আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘‘ডাক্তার ফেরদৌস এত তেল মারার প্রয়োজন কি? আমেরিকাতে বাংলাদেশের চাইতে অনেক বেশি লোক মারা যাচ্ছে আপনি সেখান থেকে বাংলাদেশে কিজন্য এসেছেন? আপনার আসল উদ্দেশ্যটা কি?’’
টিটু সরোয়ার লিখেছেন, ‘‘এ লজ্জা আমাদের পুরা জাতির জন্য সে জাতিকে সুরক্ষা দিতে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন অথচ তার সাথে সরকার এমন ব্যবহার এটা খুবই বেদনাদায়ক। দোয়া করি আল্লাহ যেন তাকে সকল আপদ বিপদ থেকে রক্ষা করেন, আমিন।’’
বিনা ফারজানা লিখেছেন, ‘‘দেশ যারা চালায় তাদেরকে কি বলব বুঝলাম না। এই দুরদিনে আমাদের দেশে অনেক অনেক ডাক্তার দরকার। একজন ডাক্তার কত ভালো মনের মানুষ হইলে জীবন বাজী রেখে নিজ দেশে লোকদেরকে সেবা দিতে আসে। তাকে এভাবে অপমান করা বা কাজ করার সুজুগই না দেয়া। আমাদের মতো অসভ্য জাতি আর কোন দেশে আছে বলে আমার জানা নাই।আমাদের দেশের প্রধানরা হিংসা আর দুর্নীতি ছাড়া কিছুই জানেনা। আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দান করুন আমিন।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।