Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বিভাজনের রাজনীতি দেশে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে -মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৭:৪৩ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার : বিভাজনের রাজনীতি দেশে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে অভিযোগ করে এ থেকে উত্তরণে জাতীয় ঐক্যের আহবান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় এক আলোচনা সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই আহবান জানান।
তিনি বলেন, আজকে বিভক্তি সর্ব পর্যায়ে। রাজনীতির অঙ্গনে তো আছেই, ক্রীড়াঙ্গনে, সংস্কৃতির অঙ্গনে সামাজিক জীবনে পর্যন্ত বিভক্তি এসে গেছে। শুনলে অবাক লাগে যে বিয়ের অনুষ্ঠানেও পর্যন্ত রাজনৈতিক বিভক্তি এসে পড়েছে। স্বীকার করি আর না করি, দেশে একটা শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ বিরাজ করছে। আমাদেরকে একেবারে অন্ধকার গহ্বরের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই বিভক্তির সংস্কৃতি আমাদের বেশি সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে না, এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে না। আমাদেরকে অবশ্য সামগ্রিকভাবে দেশের উন্নয়নের জন্য ঐক্যে পৌঁছাতে হবে। আমরা বার বার এই জাতীয় ঐক্যের কথা বলছি, এখনো বলছি। তা না হলে আমরা যে অন্ধকারে মধ্যে ঢুকে পড়েছি, তা থেকে বেরুতে পারবো না।
সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ের মিলনায়তনে ক্রিকেট সংগঠক ও প্রাক্তন খেলোয়াড়দের সমন্বয়ের গঠিত ‘ক্রিকেট অঙ্গন’ নামক এক সংগঠনের উদ্যোগে ২০০১-২০০৪ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) উপদেষ্টা ও গেইম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা হয়। আলোচনার পর কোকোর রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। গত বছরের ২৪ জানুয়ারি কোকো মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কোকো সাহেব বাংলাদেশ পেশাজীবী ক্রিকেটের সূচনা করেছিলেন। এটা দুঃখজনক যিনি শেষের ক্রিকেটের জন্য অবদান রেখেছেন, আজকে তার স্ত্রী ও সন্তানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ক্রিকেট কনট্রোল বোর্ড তার ইন্তেকালে যদি একটা শোক বাণী দিতে কিংবা একটা স্মরণসভা করতো তাতে বিসিসিবি ছোট হয়ে যেতো না। আমরা এতো বেশি সংকীর্ণ হয়ে পড়েছি যে, মানুষকে তার অবদানের জন্য স্মরণ করে পর্যন্ত চাই না।
তিনি বলেন, আমাদেরকে আজ বিভাজন থেকে মুক্ত হয়ে সত্যিকার অর্থেই সেই সূর্যকে ছিনিয়েছে আনতে হবে। আমরা যদি রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে, সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে দায়িত্ব পালন করতে পারি তাহলে এদেশকে দারিদ্রমুক্ত, আধুনিক সমৃদ্ধিময় বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো।
জিয়া পরিবারকে পাকিস্তানপন্থী হিসেবে চিহ্নিত করার ক্ষমতাসীন দলের অপচেষ্টার সমালোচনা করে তিনি বলেন, এখনো অনেকে বলেছেন, কোকো সাহেব ক্রিকেট উন্নয়ন কমিটির দায়িত্ব পালন কালে দেশে তিনি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নামকরণ করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের নামে। কি দুর্ভাগ্য আমাদের আজ সেই পরিবারকে আজ পাকিস্তানপন্থী পরিবার হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। লজ্জার কথা। সেই পরিবারকে চিহ্নিত করা হচ্ছে যার পিতার মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
কোকো সাহেবের মা যিনি ৯ বছর গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় বন্দি ছিলেন, নির্যাতিত হয়েছিলেন, তাকেও আজকে কথা শুনতে হয়।
আরাফাত রহমান কোকোর স্মরণে একটি স্মরণিকা প্রকাশ এবং তার নামে একজন ভালো ক্রীড়া সংগঠক ও খেলোয়াড়কে পুরস্কার প্রদানের উদ্যোগ নিতে আয়োজকদের পরামর্শ দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে সাবেক সদস্য খন্দকার জামিল উদ্দিন, কাজী ইউসা মিশু, শাহ নুরুল কবির শাহীন, রফিকুল ইসলাম বাবু, কাইয়ুম চৌধুরী, সাবেক ক্রিকেট খেলোয়াড় তানজীব আহমেদ সাদ, আদনান রহমান দীপন, সেলিম শাহেদ, জাতীয় ফুটবল দলে সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বাংলাদেশ ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনে সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল প্রমুখ ক্রীড়া সংগঠকরা বক্তব্য রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ