পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে দেশের মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। বর্তমান সংকটে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনা মোকাবিলা করে দেশ এগিয়ে যাবে।
গতকাল ত্রাণ তহবিলে অনুদান গ্রহণকালে তিনি এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন। গণভন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমওতে) অনুষ্ঠিত এই অনুদান গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তার মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পিএমওতে অনুদানের চেক গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আমরা করেছি, আমাদের দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে করেছি। অনেক বিত্তশালী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে এই আন্তরিকতাটুকু আছে বলে কর্মহীন, অসহায় মানুষেরা এখনও খেতে পারছে বা চলতে পারছে।
সরকার সর্বস্তরের মানুষকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ব্যাপকভাবে ত্রাণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি এবং আমরা দিয়ে যাচ্ছি। কোভিড-১৯ রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। করোনার টেস্ট ও চিকিৎসা দুটোই সরকারি উদ্যোগে বিনা পয়সায় হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক শ্রেণিপেশার মানুষ সবার কাছে যেন আমরা কিছু না কিছু সহযোগিতা পৌঁছে দিতে পারি, সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। তারা যেন কষ্ট না পায়, অর্থনৈতিক কর্মকাÐ যাতে চলে, সেদিকে লক্ষ রেখে শিল্প থেকে শুরু করে সর্বস্তরের সবাই যেন কার্যক্রম চালাতে পারে সেই লক্ষ্যে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে, যা জিডিপির প্রায় ৩ দশমিক ৭ ভাগ।
তিন-চার মাস ধরে অর্থনীতি পুরোপুরি স্থবির জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু অর্থনীতি স্থবির অবস্থায় রয়েছে, সেজন্য আমরা কিছু কিছু ক্ষেত্র এখন উন্মুক্ত করছি। কারণ মানুষকে তো আমাদের বাঁচাতে হবে। আমরা মানুষের কল্যাণের কথা ভেবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা সবসময় জনগণের কল্যাণেই কাজ করি। জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত করা, অর্থনৈতিক কর্মকাÐ সচল করা, তাদের সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়াসহ সব বিষয় নিয়ে কাজ চলছে।
দেশবাসীর উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু কন্যার আহ্বান, আল্লাহর কাছে দোয়া করেন, করোনাভাইরাসের হাত থেকে যেন আমরা মুক্তি পাই। যারা অনুদান দিয়েছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। করোনায় যারা মারা গেছেন তাদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করার পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।
যেসব সংস্থা এবং ব্যক্তিবর্গ অনুদান দিয়েছেন তারা হচ্ছেন- মুক্তযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান পরিবহন এবং পর্যটন কর্তৃপক্ষ, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানী লিমিটেড, বাংলাদেশ লিজিং এন্ড ফিন্যান্স কোম্পানীজ এ্যাসোসিয়েশন, আইপিডিসি ফিন্যান্স লি., লংকা-বাংলা ফিন্যান্স লি., উত্তরা ফিন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লি., বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় যশোর, জিএমএস কম্পোজিট নিটিং ইন্ডাস্ট্রিজ লি এবং দিএমএস চেক্সটাইল লি, বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রিজ, আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, আলিবাবা এন্ড জ্যাক মা ফাউন্ডেশন, ফ্যাশন গেøাব গ্রæপ, আনোয়ার গ্রæপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফর্মেশন সার্ভিস, সৎসঙ্ঘ হেমায়েতপুর, পাবনা এবং পিপিএস পাইপ ইন্ডাস্ট্রিজ লি।
একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মোহাম্মাদ শাহাবুদ্দিন চুপ্পু এবং গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. রাফা ইসলাম, বারডেম’র মেডিকেল অফিসার ডা. সোনিয়া জামিন প্রিত এবং জেডএইচ শিকদার মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ডা. সাদিয়া আহমেদও অনুদান প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।