পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টেমস-সুরমা নদী যেন মিশে গেছে সিলেটিদের আত্মার সাথে। সুরমায় ঢেউ উঠলে টেমসের পানিতে আছড়ে পড়ে সিলেটিদের জীবনমানের স্বপ্ন-স্বাদের নিবিড় এক বন্ধন। সাত সমুদ্র তের নদী যেন দূর নয়? কিন্তু অনেক দূরের সিলেটিদের নিকট নিজ দেশে পাশর্^বর্তী জেলাও। অগণিত সিলেটি রয়েছেন বারবার উড়ে গেছেন স্বপ্নের দেশ ব্রিটেনে, কিন্তু জীবনে হয়তো নিজ দেশের রাজধানী ঢাকার মুক্ত বাতাস উপভোগের সুযোগ হয়নি তার।
এটা গল্প নয়, বাস্তব-ই। বৈশি^ক করোনার ছোবলে সিলেট লন্ডন তথা ব্রিটেনে আর সিলেট একই আসমানের নিচে সমান অবস্থায় বিপর্যস্ত। বিশেষ করে ব্রিটেনে বসবাসরত সিলেটিরা অনিশ্চিত ভবিষ্যত নিয়ে এক অস্থির সময় পার করছেন। নদী খাল-পাহাড়-সমুদ্র দ্বারা বিভক্ত হলেও করোনায় একাকার করে দিয়েছে আজ তাদের। সুখ কাহিনীগুলো এখন বিষাদে ছেয়ে গেছে। ব্রিটেনে বসবাসরত আপনদের কাছ থেকে কেবল আসছে দুঃস্বপ্নের শ^াসরুদ্ধকর জীবন কথা। তাই কে দিবে আশা কে দিবে সান্ত¦না এই প্রশ্ন এখন সিলেটিদের তাড়া করছে।
এদিকে এক গবেষণায় উঠে এসেছে বৃটেনে করোনা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য, সেই গবেষণা পত্রে করোনার ঝুঁকিতে দ্বিগুণ হচ্ছেন বাংলাদেশীরা। যে যেভাবেই চিন্তা করেন, বৃটেনে বাংলাদেশ মানেই সিলেট। সে কারণেই সিলেটিরা আজ শঙ্কিত, জড়োসড়ো।
তথ্য মতে, ব্রিটেনে করোনায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ইংলিশদের তুলনায় বø্যাক এন্ড এশিয়ান এথনিক মাইনোরিটির মানুষের সংখ্যা বেশি বলে এক রিপোর্টে জানিয়েছে পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড। রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনায় পুরো ইউকের মধ্যে যতো মানুষ মারা গেছেন, তাদের মধ্যে লন্ডনে সবচাইতে বেশি। বিশেষ করে সাউথ ইস্ট ইংল্যান্ডের তুলনায় লন্ডনের মৃত্যুর হার তিনগুণ বেশি। এছাড়া আর ঘনবসতি এলাকাগুলিতে দ্রæত আকারে করোনা ছড়িয়েছে। বিশেষ করে ক্যাব চালক, নিম্ন আয়ের কর্মজীবি মানুষ, যারা কর্মস্থলে গিয়ে গণমানুষকে সার্ভিস দিয়েছে তারা, নিরাপত্তা কর্মী এবং কেয়ার ওয়ার্কারের মাধ্যমে লন্ডনে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে করোনা সংক্রমিত হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ২০ মার্চ থেকে ৭ মে’র ভেতরে মারা গেছে লন্ডনে ৯ হাজার ৩৫ জন মানুষ । এর মধ্যে করোনায় মারা যান ৭ হাজার ৩শ ৮৩ জন। লন্ডনে প্রতি লাখের মধ্যে করোনার চিকিৎসা নিয়েছেন বø্যাক এন্ড এশিয়ান এথনিক কমিউনিটির মহিলা ৪৮৬ জন এবং পুরুষ ছিলেন ৬৪৯ জন। আর শ্বেতাঙ্গ কমিউনিটির ছিলেন মহিলা ২২০ জন এবং পুরুষ ২২৪ জন।
অন্যদিকে, প্রতি লাখের মধ্যে বø্যাক এথনিক কমিউনিটির ১১৯ জন মহিলা এবং ২৫৭ জন পুরুষ মারা গেছেন। আর এশিয়ান প্রতি লাখের মধ্যে মারা গেছেন মহিলা ৭৮ জন এবং পুরুষ ১৬৩ জন এবং অন্যান্য এথনিক কমিউনিটি থেকে মহিলা ৫৮ জন এবং ১১৬ জন পুরুষ। সেই তুলনায় শ্বেতাঙ্গ কমিউনিটির মারা গেছেন মহিলা ৩৬ জন এবং পুরুষ ৭০ জন। এদিকে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ইউকের বাংলাদেশী কমিউনিটি মানুষের করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি শ্বেতাঙ্গদের চাইতে দ্বিগুণ বেশি। বয়স, লিঙ্গ এবং অন্যান্য সার্বিক পরিস্থিত বিবেচনা করেই এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। একই সময়ে চীনা, পাকিস্তানীসহ অন্যান্য এশিয়ান, ক্যারাবিয়ান এবং বø্যাক কমিউনিটির মানুষের মৃত্যু ঝুঁকি সাদাদের তুলনায় ১০ থেকে ৫০ শতাংশ বেশি। গত মঙ্গলবার পার্লামেন্টে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেন হেলথ সেক্রেটারী মেট হ্যানকক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।