পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেও চুক্তিভিত্তিক কৃষক ও খামারিরা যেন উৎপাদিত পণ্য বিপণনে বিপাকে না পড়েন, সেলক্ষে কাজ করে যাচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রাণ। এর অংশ হিসেবে প্রাণ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দেশের কয়েকটি জেলার কৃষকদের কাছ থেকে মুগ ডাল সংগ্রহ করছে।
প্রাণ ডাল ভাজা, ডাল মিক্স, প্রাণ হালিম মিক্স ও ডাল তৈরির জন্য চলতি বছর নাটোর, ভোলা, পটুয়াখালী ও বরগুনার চুক্তিবদ্ধ খামারীদের কাছ থেকে মুগ ডাল সংগ্রহ করছে প্রাণ। এবছর ৫ হাজার মেট্রিক টন মুগ ডাল সংগ্রহের ক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। মে মাসে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম চলবে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত।
প্রাণ এগ্রো বিজনেস লিমিটেড এর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন বলেন, চলতি বছর ৪৩০০ একরের বেশি জমিতে প্রাণ এর চুক্তিভিত্তিক কৃষকরা মুগ ডাল চাষ করেছেন। প্রাণ এর প্রতিনিধিরা কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে এসব মুগ ডাল সংগ্রহ করছেন। বর্তমানে মুগ ডাল উৎপাদনে প্রাণ এর ৪ হাজার চুক্তিভিত্তিক কৃষক রয়েছে।
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ-এই সময়কে মুগ ডাল চাষের উপযুক্ত সময় বিবেচনা করা হয়। এসময়ে প্রাণ এর পক্ষ থেকে চুক্তিভিত্তিক কৃষকদের ভাল মানের বীজ, জৈব সার, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দেয়া হয়। এতে কৃষকরা একদিকে যেমন উপকৃত হন, অন্যদিকে প্রাণও ভালো মানের ফসল পেয়ে থাকে। আর সংগৃহিত ফসল নাটোর ও নরসিংদীর ঘোড়াশালে অবস্থিত প্রাণ কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করা হয়।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, প্রাণ কৃষিপণ্য নির্ভর একটি প্রতিষ্ঠান। দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে সরকার করোনার মধ্যেও কৃষি পণ্যের উৎপাদন ও বিপণন স্বাভাবিক রাখতে নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রাণও এই সময়ে কৃষকদের পাশে থেকে কাজ করে চলছে। দুধ, চাল কিংবা ডাল-সবকিছুই সংগ্রহ হচ্ছে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।