পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় মানবপাচারকারী চক্রের মূল হোতা কামাল হোসেন ওরফে হাজী কামালের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবু সুফিয়ান মো. নোমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
অন্যদিকে লিবিয়ায় মানব পাচারের মামলাগুলো তদন্ত করবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তার বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে একটি, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে একটি ও মাদারিপুরে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাগুলোর তদন্তভার ইতিমধ্যে সিআইডি পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার এসআই নুরুল ইসলাম তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কামালকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী এর বিরোধিতা করে জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত সোমবার ভোরে গুলশানের শাহজাদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে মানবপাচারকারী চক্র সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটন ও পাসপোর্ট জব্দ হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে মানব পাচার সংক্রান্ত।
র্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাজী কামালকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মানবপাচার সিন্ডিকেটের অনেকের নাম জানা গেছে। কামাল এই চক্রের হোতা। তিনি তিনি অন্তত: ৪০০ জনকে লিবিয়ায় পাঠিয়েছেন। র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল রকিবুল হাসান জানান, হাজি কামালের মানব পাচারকারী সিন্ডিকেটে আরও ১০ জনের তথ্য পাওয়া গেছে। তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া মানব পাচার সিন্ডিকেট সম্পর্কে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। র্যাব সেগুলো নিয়ে কাজ করছে। গত ২৮ মে লিবিয়ার মিজদা শহরে মানবপাচারকারীদের হাতে ২৬ বাংলাদেশি নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।