পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শাহাদাতবার্ষিকীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তক জিয়াউর রহমানকে শ্রোদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন নেটিজেনরা। আজ ৩০মে সাবেক এই মহানায়কের ৩৯তম শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হয়। দিনটির শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের নানা অবদান স্মরণ করে স্ট্যাটাস দিতে থাকেন অসংখ্য ভক্ত-অনুগামীরা।
সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালের এই দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল বিপথগামী সৈনিকের হাতে শাহাদাত বরণ করেন। সেই থেকেই তার প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি দিবসটিকে জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী হিসেবে পালন করে আসছে।
ফেইসবুকে মুহাম্মাদ আব্বাস আলী শরিফ লিখেছেন, ‘‘আমি কোন রাজনৈতিক দল করি না। কিন্তু শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একজন জনপ্রিয় ও দূরদর্শী প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এতে কোন সন্দেহ নেই।তার বাস্তব নমুনা দেখেছি কিছুদিন পূর্বে ওমরাহ পালনকালে। পবিত্র মক্কা-মদীনা যেখানেই ওনার নাম বলেছি সবাই খুব সম্মানের সাথে ওনাকে স্মরণ করেছেন। বিশেষত সৌদি সরকার ও জনগণের কাছে তিনি অসম্ভব জনপ্রিয় একজন জনপ্রিয় একজন প্রেসিডেন্টের নাম। রাষ্ট্রীয় মেহমান হিসেবে মক্কার আরাফাত ময়দানে তৎকালীন সময়ে তিনি একটি নিম গাছ রোপণ করেছিলেন। সেই একটি গাছ আজ হাজার হাজার নিম গাছ সৃষ্টি হয়েছে এবং সৌদি আরবে গাছগুলো 'জিয়া গাছ' নামে সর্বত্র পরিচিত।’’
শরিফকুল ইসলাম রানা লিখেছেন, ‘‘হে মহান নেতা, তোমাকে জানাই সশ্রদ্ধ সালাম। আজ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাতবার্ষিকী। বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ জিয়া ছিলেন বাংলার আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র। স্বাধীনতা উত্তর দুর্ভিক্ষপীড়িত জনগণ...যখন শুধু অনিশ্চয়তা ও হতাশা ছাড়া আর কিছুই চোখে দেখছিলোনা ঠিক তখনই জিয়া জ্বালিয়েছিলেন আশার আলো, বাংলাদেশের জনগণ বুকে বেঁধেছিল অনেক বড় স্বপ্ন। কিন্তু দেশ বিরোধী ঘাতক চক্র নির্মমভাবে হত্যা করে প্রেসিডেন্ট জিয়াকে, তাঁর শাহাদাতে জাতি হয় কলংকিত। সেদিনই আমরা সেই কলংক থেকে মুক্ত হতে পারব যেদিন আমরা গড়তে পারব জিয়ার স্বপ্নের সেই সোনার বাংলাদেশ। তোমার শাহাদাতবার্ষিকিতে আমাদের শুধু মহান প্রভুর কাছে দোয়া করা ছাড়া আর কিছু করার নাই। হে মহান নেতা আমাদের যে আজ হাত-পা বাঁধা, প্রার্থনা করি সৃষ্টিকর্তা যেন আমাদের নতুন প্রজন্মের মধ্যে তোমার মত সিংহ সাহস দেন।’’
রিফাথ আহমেদ লিখেছেন, ‘‘স্বাধীন বাংলাদেশের প্রাপ্তি বলতে একজন মানুষই... একজন জনগণের নেতা, গণতন্ত্রের সেবক এবং শান্তি-ঐক্য-উন্নয়নের কান্ডারী। যিনি ধূমকেতুর মত এলেন, ইতিহাস গড়লেন এবং মানুষের অপরিসীম ভালবাসা নিয়ে এবং সমগ্র জাতিকে কাঁদিয়ে চলেও গেলেন। ১৯৮১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী কিছু কুচক্রী হয়তো হেসেছিল কিন্তু কেঁদেছিল সমগ্র বাংলাদেশ! হ্যাঁ একজন নেতার জন্যই সমগ্র জাতি সেদিন কেঁদেছিল, একটি লাশের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসায়- যা বাংলাদেশ কেন, বিশ্ব ইতিহাসে এক বিরল ঘটনা! এর কারন তিনি ছিলেন- জনগণের শাসক, শুধুই বাংলাদেশের মানুষের নেতা। আজ সেই ‘জনগনের জিয়া’র ৩৯তম শাহাদাতবার্ষিকী। স্বাধীনতার ঘোষক এবং স্বাধীন বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল এই রাষ্ট্রনায়ককে মহান আল্লাহ জান্নাতুল ফেরদাউস নসীব করুন- আজকের দিনে এই প্রার্থনাই করি।’’
আশিক শ্রাবন লিখেছেন, ‘‘গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করছি মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানকে। মহান আল্লাহতালা যেনো তার প্রিয় বান্দাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করেন।’’
মো. নিশি লিখেছেন, ‘‘ঘুমাও তুমি পরম শান্তিতে হে স্বাধীনতার ঘোষক, আমরা জেগে আছি তোমার প্রিয় বাংলাদেশ রক্ষায়।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।