পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে পানিবদ্ধতায় ৫শ’ বিঘা জমির ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষক। ঘুর্ণিঝড় আম্পানের পর বৃষ্টিতে পানিবদ্ধতার কারণে মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের পূর্ব লখন্ডা পাথারের প্রায় ধান তলিয়ে গেছে। অপরিকল্পিভাবে রাস্তাঘাট নির্মাণ ও তেলিকান্দার খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, পাথারে পানি আটকে থাকায় বদ্ধ পানিতে জোক জন্মেছে। সেখানে শ্রমিকরা ধান কাটতে নামলেই জোকে আক্রমন করে। শরীরে চুলকানি শুরু হয়। এ কারণে ধানকাটা শ্রমিক ধান না কেটেই পালিয়ে যাচ্ছে। ওই শতাধিক কৃষক জমির ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
লখন্ডা গ্রামের কৃষক মিন্টু কাজী বলেন, গোহালা ইউনিয়নের প্রসন্নপুর থেকে তেলিকান্দা পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া তেলিকান্দির খাল ভরাট হয়ে গেছে। তাই বৃষ্টি হলে পূর্ব লখন্ডার পাথারে পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। পাথারে আমাদের ৫৫ বিঘা জমিতে রোবোর ধান রয়েছে। ধান কাটা শ্রমিক পাচ্ছিনা। যারা ধান কাটতে আসছে জোকের আক্রমন ও চুলকানির কারণে পালিয়ে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত ধান ঘরে তুলতে পারবকিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
পূর্ব লখন্ডা গ্রামের কৃষক হান্নান শেখ, দুলু কাজী, মোস্তফা মিনা ও রশিদ মিনা বলেন, তেলিকান্দির খাল খনন করা হলে আমরা এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাব। কিংবা মাত্র ৭শ’ থেকে ৮শ’ মিটার ড্রেন নির্মাণ করে পাথার থেকে গোহালা খালে সংযোগ করে দেয়া হলেও আমাদের পূর্ব লখন্ডা পাথারে পানিবদ্ধা থাকবেনা। ধান নিয়ে এ দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবো।
ধানকাটা শ্রমিক শাম শেখ, কালিমুল্লাহ মুন্সি বলেন, এখানে ধানের গাছ পানিতে তালিয়ে গেছে। ধানের শীষ জেগে আছে। ধান কাটতে খুব কষ্ট হয়। তারপর পানির মধ্য দিয়ে ধান মাথায় করে বয়ে আনতে হয়। এতে কষ্ট আরো বেড়ে যায়। এর পাশাপাশি পাথারে নামলেই জোক আক্রমন করে। শরীর চুলকায়। এ সব কারণে শ্রমিকরা ধানকাটা ফেলে রেখে পালিয়ে যাচ্ছে।
গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বাড়ৈ বলেন, মুকসুদপুরের পূর্ব লখন্ডা পাথারের পানিবদ্ধতা নিরসনে আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নতুন প্রকল্প গ্রহন করবো। প্রকল্প বাস্তবায়ন করে কৃষককে পানিবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।