পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাকালীন ঈদ-যাত্রায় যান চলাচলের নির্দেশনা নিয়ে হযবরল অবস্থা বিরাজ করছে। বিদ্যমান ‘সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ,নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইন-২০১৮’ অনুসরণের যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ,জন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা না দিলে সেটির কার্যকরিতা হারাবে। আইনের মুখোমুখি হলেও টিকবে না-বলে মন্তব্য করেছেন ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ’র (এইচআরপিবি) প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। আজ (রোববার) সন্ধ্যায় এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
চলাচল মানুষের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার উল্লেখ করে মনজিল মোরসেদ আরও বলেন, সাংবিদদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে করোনাকালিন সময়ে আমাদের বিভিন্ন সময় বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। কারণ যেসমস্ত তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে আমাদের কথা বলতে হয় তখন সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না। তথ্যের ঘাটতি রয়েছে। উদারণ স্বরূপ চলাচল নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সে সমস্ত নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে- একেক সময় একেক নির্দেশনা।
এসব নির্দেশনা কোত্থেকে দেয়া হচ্ছে ? সূত্র কি? এসবের আইনগত ভিত্তি কি ? এগুলো খুঁজতে গেলেও আমরা বিভ্রান্তিতে পড়ি। কোনো সঠিক তথ্য পাইনা। কারণ আমরা জানি যে, চলাচল মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। মৌলিক অধিকার। এটি নিয়ন্ত্রণ করার কয়েকটি নির্দিষ্ট উপায় আছে।
সেই উপায় অনুসারে কয়েকটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেয়া হযেছে। করোনা মোকাবেলার পদ্ধতি কিন্তু সংক্রমক আইনেই দেয়া আছে। কিভাবে সেটি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। কিন্তু আমরা কয়েকদিন থেকে বিশেষ করে ঈদের ছুটিকালিন সময়ে দেখছি বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ যান চলাচল নিয়ে একেক সময় একেক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে। আজকে এক ঘোষণা কালকে আরেক ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছে। তাতে মনে হচ্ছে এসব ঘোষণা যারা দিচ্ছেন তারাই অবহিত নন যে, কোনো ঘোষণার মাধ্যমে এটি কার্যকর করা যাবে। এর ফলে কোনো ঘোষণাই আল্টিমেটলি কার্যকর হচ্ছে না। এভাবেই চলছে।
সর্বশেষ আমরা দেখলাম, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হলো যে, প্রাইভেট কার দিয়ে গ্রামে যাওয়া যাবে। এতে কোনো বাধা নিষেধ থাকবে না। এটিও কিন্তু করোনা মোকাবেলার নির্দেশনার হলে সর্ব সাধারণের জন্য একই নির্দেশনা হওয়ার কথা। কিন্তু এখানেও আমরা দেখলাম বৈষম্য। অর্থাৎ সাধারণ মানুষ যারা গণপরিবহনে চলাচল করেন তাদের ব্যপারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
যাদের গাড়ি আছে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা নেই। এখানে বৈষম্য। আমার প্রশ্ন-করোনা আক্রান্ত করার ব্যাপারে করোনা কি এ বৈষম্য দেখবে ? কে অর্থশালী, বিত্তশালী কে গরীব ? আমরা তা মনে হয় না। সুতরাং এ ধরণের নির্দেশনা থাকাটা কোনোভাবেই সমিচীন নয়। তবে একটা হচ্ছে যে, হ্যাঁ, করোনা নিয়ন্ত্রণে যান চলাচল নিধেষধাজ্ঞা অবশ্যই করার প্রয়োজন ছিলো। কিন্তু সেটি যথাযথ উপায়ে এখনো কেন করা হচ্ছে না সেটি আমার বোধগম্য নয়। এটি স্পষ্ট করে সংক্রামন আইনেই বলা আছে।
ভাইরাস প্রতিরোধে যে কোনো পদক্ষেপ নিতে হয সেটি নেযা যাবে। সেই পদক্ষেপ নেয়ার অন্যতম উপায় হলো যেটি বিশ^স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু সেটি করার ক্ষেত্রে যে হযবরল অবস্থা আমাদের করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই দেখছি তাতে আমাদের শংকা জাগছে যে, আসলে ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের আইনেই যা দেয়া আছে সেটির বিষয়ে কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে অবহিত আছে কি না-প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আমার বক্তব্য হলো, করোনা প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষ আমরা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সাংবিধানিক অধিকারও খর্ব করতে পারে। কিন্তু সেটা হতে হবে একটি একটি আইনের অধীনে। সেটি যদি না হয় সেটি এরকম অকার্যকর হবে। আইনগত কোনো ভিত্তি থাকবে না। আইনগত কোনো প্রতীকারও পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ এটি যদি নিয়ে কেউ আইনের মুখোমুখি হয় তাহলে এসমস্ত কার্যকরের আদেশ কোনো কিছু টিকবে না। কর্তৃপক্ষের কাছে আমার আবেদন, আপনরা যে আদেশ জারি করুন না কেন মহামারী প্রতিরোধে সেটি যেন সংক্রামক ব্যধি নিয়ন্ত্রণ আইনে করা হয় তাহলেই সেটি কার্যকর হবে বলে আমার বিশ্বাস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।