পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’ এর কবল থেকে জানমাল রক্ষায় সরকার সম্ভব সবধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। ১৩ হাজার ২৪১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং ২০ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিলের সভায় প্রধানমন্ত্রী ওইসব কথা বলেন। সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রস্তুতি আমাদের আছে, এখন বাকিটা আল্লাহ ভরসা।
এটা প্রকৃতির নিয়ম, প্রকৃতির খেলা। তবুও আমরা সব সময় আল্লাহর কাছে দোয়া করি যে, এর থেকে যেন আমাদের জানমাল ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। আর এই ঝড়ের শক্তিটা যেন আস্তে আস্তে কমে যায় বাংলাদেশে আসতে আসতে, সেটাই আমরা কামনা করি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে ব্যাপকভাবে যখন সরকার কাজ করে যাচ্ছে, তখন এসেছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এখানে কারো হাত নেই, এটা আমরা ঠেকাতে পারব না। কিন্তু মানুষের জানমাল কটুকু রক্ষা করা যায় সেই বিষয়ে ব্যবস্থাটা আমরা নিতে পারি এবং সেটা আমরা নিয়ে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রস্তুতি তো সম্পূর্ণ নিতে হবে। যখন দেশের উপর আঘাত করবে শুধু চিন্তার বিষয় থাকবে তখন যদি পূর্ণ জোয়ার বা পূর্ণিমা থাকে সেটি আরো ভয়ঙ্কর হয়ে যায়। কাজেই আসলে প্রকৃতির খেলা বোঝা মুশকিল। তারপরও আমি মনে করব সরকারের দিক থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখছি। প্রত্যেকে আমাকে খবর পাঠাচ্ছে, সেজন্য ধন্যবাদ এবং যেটুকু প্রস্তুতি এর জন্য আমি সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই যে যথাযথ ব্যবস্থা আপনারা নিয়ে নিচ্ছেন। এই ধরনের দুর্যোগে আগে থেকেই কী কী ব্যবস্থা নিতে হবে সেজন্য নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল সেখানে লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। সেটা এমন একটা ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়, দুর্ভাগ্য যে তখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। তারা অনেকে জানতই না যে ঝড় আসছে বা এটাতে কোনো রকম কোনো পদক্ষেপ তারা নেয়নি বা পূর্ববর্তী কোনো প্রস্তুতিই তাদের ছিল না।
তিনি বলেন, ওই ঘূর্ণিঝড়ে এয়ারফোর্সের বিমান নষ্ট হয়ে যায়। নেভির জাহাজ নষ্ট হয়। আমাদের প্রচুর সম্পদ নষ্ট হয়, মানুষ মারা যায়। মানুষের লাশ, শিশুর লাশ, পশুর লাশ একই সাথে পানিতে ভাসতে আমি দেখেছি। আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে তখনকার সরকারের পূর্বেই অনেক কষ্ট করে মাছের ট্রলারে করে বিভিন্ন দ্বীপ অঞ্চলে পৌঁছে যাই। ত্রাণ বিতরণের কাজ করি। তখন থেকেই আমাদের একটা পরিকল্পনা ছিল এই ধরনের দুর্যোগ এলে আমাদের কি করনীয়।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের আগে আবহাওয়া দফতরের অবস্থা করুণ ছিল উল্লেখ করে সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো রকম আধুনিক ব্যবস্থা ছিলই না। এরপর আমরা এটাকে আধুনিক করার চেষ্টা করেছি। আর এখন আমরা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করতে পারি। আন্তর্জাতিকভাবে বেশ কিছু চুক্তিও আমরা করেছি। প্রতিবেশি দেশের কাছ থেকেও আমরা তথ্যগুলো সময় মতো সংগ্রহ করতে পারি।
গণভবনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। সচিবালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, তিন বাহিনী প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।