পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারী সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে সরকার শর্তসাপেক্ষে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে জামানতের ৫০% অর্থ ফেরত দিচ্ছে। আগামী এক বছরের মধ্যে এসব অর্থ ফেরত দিতে হবে। অন্যথায় লাইসেন্স বাতিল করা হবে। তিন শত টাকার ষ্ট্যাম্পে এমন অঙ্গীকারনামা দিয়েই বিএমইটি থেকে জামানতের ৫০% অর্থ উত্তোলন করতে হবে। গত ১৭ মে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে এক সার্কুলারে এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
মরণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারীতে জনশক্তি রফতানি খাতের সকল কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। ষোল শতাধিক রিক্রুটিং এজেন্সি’র প্রায় ৩২ হাজার পরিবারে চরম দুর্দিন চলছে। লকডাউনের মাঝে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও অফিস ভাড়া পরিশোধ করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়া এজেন্সিগুলোর হাতে প্রায় এক লাখ সউদীর ভিসা আটকা পড়েছে। এতে শত শত কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো।
দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে রেখেছে জনশক্তি রফতানির খাত। মহামারীর সঙ্কটকালে এ খাতকে টিকিয়ে রাখতে বায়রার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর উদ্যোগে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো এক বছরের মধ্যে ফেরত দেয়ার শর্তে জামানতের ৫০% অর্থ উত্তোলনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো তিন শত টাকার নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে এক বছরের মধ্যে ফেরত দেয়ার অঙ্গীকারনামা দিয়ে ৫০% অর্থ উত্তোলনের সুযোগ পাচ্ছে।
করোনাভাইরাসের এ মহামারী কাটিয়ে আগামী এক বছরের মধ্যে জনশক্তি রফতানির খাত ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কি না তা’নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। লাইসেন্স হারানো শঙ্কায় অনেক রিক্রুটিং এজেন্সিই সরকার ঘোষিত জামানতের ৫০% অর্থ বিএমইটি থেকে উত্তোলন করতে উৎসাহিত হচ্ছে না। রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদের সভাপতি এম টিপু সুলতান আজ মঙ্গলবার এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। জামানতের অর্থ উত্তোলনে কঠিন শর্ত জুড়ে দেয়ায় এ সুযোগকে আত্মঘাতীর শামিল বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদের নেতা টিপু সুলতান বলেন, জনশক্তি রফতানির এ খাতকে টিকিয়ে রাখতে হলে সুদবিহীন দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ বরাদ্দ দিতে হবে। লাইসেন্স নেয়ার সময়ে সরকারের ফান্ডে ৩/ ৪ লাখ টাকা করে জমা দেয়া হয়েছে। সেখানে লভ্যাংশের কোটি কোটি টাকা অলস পড়ে রয়েছে। সেখান থেকে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে সহায়তা দিতে হবে। তিনি ঈদের আগেই বায়রায় জমাকৃত শত শত কোটি টাকা থেকেও এজেন্সিগুলোকে নগদ সহায়তা প্রদানের জোর দাবি জানান।
এদিকে, আজ মঙ্গলবার বায়রার যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান জামানতের ৫০% অর্থ ফেরত দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, মহামারীর চরম সঙ্কটকালে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো পথে বসার উপক্রম হয়েছে। তারা কর্মচারিদের বেতন-ভাতা এবং অফিস ভাড়া পরিশোধ করতে পারছে না। তিনি বলেন,বায়রার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ সঙ্কটকালে জামানতের ৫০% অর্থ ফেরত পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলছে। জামানতের ৫০% অর্থ নিয়ে এজেন্সিগুলো অনেকটাই সোজা হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে পারবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।