পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রফতানি আয় আরও বাড়াতে দেশের কৃষিজাত পণ্য বিশ্ববাজারে যুক্ত করার উপযুক্ত সময় এসেছে। তবে এই উপলব্ধিকে ধারণ করে সরকারকে যথাসময়ে পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না। সারাবিশ্বে পণ্য সংরক্ষণ ও বিপণনে বিরাট পরিবর্তন ঘটেছে। কৃষিতেও বিবর্তন ঘটেছে বহু আগে। করোনা মহামারীর এই পরিস্থিতিতে এই বিবর্তন যেন আরও দ্রুত ঘটছে। এমন অবস্থায় বিশ্ববজারে প্রবেশ করতে আমাদের আরও সচেতন হওয়ার প্রয়োজন ছিল বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। গার্মেন্ট শিল্প যদি বিশ্ববাজার হারায় সে বিষয়টি মাথায় রেখে নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তবে গার্মেন্টস শিল্পের পর কৃষিপণ্য হতে পারে নতুন রফতানি খাত, এমন চিন্তা-ভাবনার আলোকে সরকারের কোনো উদ্যোগ বা পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছেনা।
বাজারে আসছে মধু মাসের সুস্বাদু ফল আম। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের আমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবছর পঞ্চাশ হাজার মেট্রিক টনেরও বেশি আম রফতানি সম্ভব। এতে আয় হতে পারে হাজার কোটি টাকারও বেশি। শুধু আম নয়, লিচু-কাঁঠাল এসব ফলও রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। এ ছাড়া দেশে এখন প্রচুর পরিমাণে আলু উৎপন্ন হয়। যথাযথভাবে আলু সংরক্ষণ করে বিদেশে রফতানি করলে কৃষক যেমন লাভবান হবে, তেমনি দেশেরও রফতানি আয় বৃদ্ধি পাবে। গার্মেন্টস ও চিংড়ি খাতের পর এসব কৃষিপণ্য হতে পারে দেশের রফতানি আয়ের নতুন খাত। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারিভাবে বিশেষ মনিটরিং সেল করে দূতাবাসগুলোকে কাজে লাগিয়ে এ বছরই আম রফতানি করা সম্ভব হতো। কিন্তু আম রফতানির বিষয়টি নিয়ে সরকার যথাসময়ে উদ্যোগ নিতে পারেনি।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত¡ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, করোনা পরিস্থিতি বিশ্বের অনেক কিছু বদলে দিয়েছে। সেক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থায় অনেক কিছু করা হচ্ছে। বাংলাদেশের আমও যথাসময়ে উদ্যোগ নিলে বিশেষ ব্যবস্থায় রফতানি করা যেত। স্বাদ ও গুনগত মান ভালো হওয়ার কারণে সারাবিশ্বে বাংলাদেশের আমের চাহিদা বেশি। বাংলাদেশ সরকারের যে বিভাগ এ রফতানিকরণ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত তারা যথাসময়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করলে এটা সম্ভব হতো। তবে এখনো যদি দূতাবাসগুলো যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করে তাহলেও আমসহ অন্যান্য পণ্য রফতানি সম্ভব হতে পারে।
বিশ্ববাজার ধরতে আমাদের সরকারিভাবে আম রফতানির কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে বিশেষজ্ঞদের অভিযোগ। তারা বলেন, রাশিয়াসহ ইউরোপের ছয়টি দেশে বাংলাদেশের আম যায়। ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে, পতুর্গাল, ফ্রান্সসহ এসব দেশে লকডাউন পরিস্থিতি এখন অনেকটাই শিথিল। এসব দেশের বাংলাদেশ দূতাবাসগুলো সক্রিয় হয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় আম রফতানির উদ্যোগ নিলে সেটা সম্ভব হতো। আমের পাশাপাশি আরেকটি সুস্বাদু ফল রয়েছে লিচু। এর পর আসছে কাঁঠাল। এসব মৌসুমী ফল যথাযথ সময়ে রফতানির উদ্যোগ সরকার গ্রহণ করলে দেশের কৃষিপণ্য বিশ্ববাজরে প্রবেশ করতে পারবে।
বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে যে, করোনা পরিস্থিতিতে বাজার ব্যবস্থা ভেঙে গেছে। নতুন কাঠামো দাঁড়িয়ে যাবে। আমাদের সেই কাঠামোতে যুক্ত হতে হবে। কৃষির উৎপাদন বাড়াতে হবে। প্রক্রিয়াজাতকরণ, বাজারজাতকরণে অধিক মনোযোগী হতে হবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, প্রকৃত কৃষককে সুবিধার আওতায় আনতে হবে। প্রকৃত কৃষক সুবিধা না পেলে, খাদ্য নিরাপত্তা ভেঙে পড়বে। দুর্যোগ সময়কে কাজে লাগিয়ে আমাদের কৃষির উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এগুলো শুধু বাজেটের বিষয় নয়। দীর্ঘ মেয়াদে কৃষি উন্নয়নের রূপান্তর ঘটিয়ে বিশ্ববাজারে জোরালোভাবে প্রবেশ করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।