Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

সৈয়দপুরে ক্যান্টালপ ফলের পরীক্ষামূলক চাষ

বাজারজাত নিয়ে দুশ্চিন্তা

নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) : | প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০২০, ১২:০৩ এএম

সৈয়দপুরে উচ্চ ভিটামিন ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ বিদেশী ক্যান্টালপ ফলের পরীক্ষামূলক চাষ হয়েছে। উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের অসুরখাই গ্রামে কৃষক আহসান-উল-হক বাবু সাড়ে তিন বিঘা জমিতে ক্যান্টালপ ফল চাষ করেছেন। পাশের আরো সাড়ে তিন বিঘা জমিতে তরমুজ (ব্লাকবক্স ) আবাদ করেছেন। উল্লিখিত দুই ফলের ফলন দেখে উচ্ছসিত কৃষক আহসান-উল- হক বাবু। আর সপ্তাহখানেক পরেই এ সব ফল বাজারজাত করা যাবে। তবে ক্যান্টালপ ও তরমুজ বাজারজাত নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি। তিনি চলতি মৌসুমী ৭ বিঘা উঁচু জমিতে বিদেশী ক্যান্টালপ ফল ও ব্লাকবক্স জাতের তরমুজের চাষ করেন।

কৃষক বাবু জানান, তিনি ইন্টারনেট থেকে ক্যান্টালপ জাতের ফল চাষে উদ্ধদ্ধু হন। আর ব্লাকবক্স জাতের তরমুজ চাষের ধারণা পান মেহেরপুরের কৃষকদের কাছ থেকে। পরবর্তীতে তিনি ক্যান্টালপ ও ব্লাকবক্স জাতের তরমুজের বীজ সংগ্রহ করে বপন করেন ট্রেতে। বীজ বপনের ১৭/১৮ দিন পর তা জমিতে লাগান। জমিতে সম্পূর্ণ সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে এবং আংশিক অর্গানিক সার প্রয়োগে ওই চারা রোপন করা হয় গত ১৬ ও ১৭ মার্চ। যথারীতি নিবিড় পরিচর্যার কারণে ৪০/৪৫ দিনের মধ্যে ক্যান্টালপ ও তরমুজ গাছে ফুল ও ফল আসা শুরু হয়।

গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, ক্ষেতের জাংলায় বিভিন্ন আকৃতির শত শত ক্যান্টালপ ও তরমুজ ঝুলছে।
কৃষক বাবু জানান, তাঁর জমিতে ক্যান্টালপ ও তরমুজ চাষে সার, বীজ, জাংলা তৈরিসহ পরিচর্যায় প্রতি বিঘায় ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয়। সে হিসেবে তাঁর ৭ বিঘা জমিতে সাড়ে চার লাখ টাকারও বেশি খরচ হয়েছে। তিনি আশা করছিলেন প্রতি কেজি ক্যান্টালপ ২৫০ থেকে ৩ শ’ টাকা এবং তরমুজ ৩৫/৪০ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। তাঁর ক্ষেতের ওই দুটি ফল বিক্রি করে খরচ ওঠার পরও কয়েক লাখ টাকা লাভের স্বপ্ন দেখছিলেন তিনি। কিন্তু করোনায় সব স্বপ্ন ওলট পালট হয়ে গেছে। তিনি উৎপাদিত ফল বাজারজাতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহযোগিতা কামনা করেন।

এ বিষয়ে কথা হয় সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব দাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাঁর জমিতে ক্যান্টালপ চাষাবাদের পাশে থেকে কারিগরী, পোকামাড়ক ও রোগ-বালাই দমনে সার্বিক সহযোগিতা দিয়েছি। সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহিনা বেগমও ক্যান্টালপ ক্ষেত পরিদর্শন করে কৃষককে নানাভাবে উৎসাহ- যুগিয়েছেন।

কৃষক বাবুর এ উদ্যোগে দেশের সাধারণ মানুষও বিদেশী ক্যান্টালপ ফল খেতে পারবেন। এতে করে মানুষের ভিটামিন ও প্রোটিনের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ করতে সক্ষম হবে। সেই সঙ্গে আমদানি নির্ভর এ ফল দেশে উৎপাদনে মানুষের চাহিদা মিটবে এবং বৈদেশিক মূদ্রাও সাশ্রয় হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ