পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সারাদেশের মধ্যে করোনাভাইরাসের হটস্পটখ্যাত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইকবাল হোসেন বলেন, শুধু করোনাকালে নয়, আল্লাহকে হাজির-নাজির জেনে তাকে সবসময় ভয় করতে হবে।তিনি বলেন, মহান আল্লাহই এই মহামারি থেকে দেশ ও জাতিকে উদ্ধার করতে পারেন।
তিনি এই প্রতিবেদকের সাথে এক মতবিনিময়ে বলেন, ব্যক্তিগত উদ্যোগে ২৯০০ পরিবারকে এবং প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ১৫৬০ পরিবারকে ত্রাণসামগ্রী দিয়েছি।ওয়ার্ডের প্রায় ২৪ হাজার ভোটারের জন্য এ ত্রাণ খুবই নগণ্য এবং সরকারের কাছে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।
তিনি জানান, ২০১১ সাল থেকে তার পিতা-মাতার নামে প্রতিষ্ঠিত ‘হাজী ইদরিস আলী এন্ড হাজী হাজেরা খাতুন ফাউন্ডেশন’র মাধ্যমে সমাজসেবামূলক কাজ করে আসছেন।করোনাকালে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে আমি এবং কো-চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেনের উদ্যোগে ২২০০ লোককে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি লবণ, ১ কেজি পেঁয়াজ ও ১ লিটার করে ভোজ্য তেল প্রদান করেছি।বাকী ৭০০ জনকে ১০ কেজি চাল ও ১ কেজি করে ডাল দিয়ে ২৯০০ লোককে সহায়তা করেছি। এছাড়া বিনামূল্যে ২০০০ মাস্ক দিয়েছি।হ্যান্ড সেনিটাইজার বিতরণ করেছি।ত্রাণ বিতরণ কর্মসুচিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াসিন মিয়াসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ওয়ার্ডের সর্বমোট ৪২টি মসজিদে একাধিকবার আমি অনুদান দিয়েছি।করোনাকালে ৫জন করোনা রোগীকে আর্থিক সহযোগিতা করেছি।মিজমিজি পশ্চিমপাড়া হাইস্কুলে শহীদ মিনার করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে আমি প্রতিটি মসজিদে গিয়ে মুসল্লীদের সচেতন করেছি এবং ইমাম সাহেবদের মাধ্যমে মুসল্লীদেরকে সচেতন থাকার উদ্যাগ নিয়েছি।
নারায়ণগঞ্জকে করোনার হটস্পট বলায় আমরা কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য মহল্লায় মহল্লায় বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়েছি, মাইকিং করিয়েছি, পিপিই পরিহিত অবস্থায় আমাদের লোকজন চেকিং করেছে যেন বিনাকারণে কেউ রাস্তায় ঘুরাঘুরি না করে।
কাউন্সিলর ইকবাল বলেন, এখন মার্কেট খোলে দেয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক নয়।কারণ, এতে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যেতে পারে। কেনো মার্কেট খোলা ঠিক হয়নি জানতে চাইলে তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ঈদ তো সবার জন্য। অন্যান্যবারের মত যদি মার্কেটে ভীড় হয়, করোনা কিভাবে ছড়বে চিন্তা করেছেন? কেউ হয়তো যাবে না। তার জন্য কি ঈদ নেই? ঈদ তো সবার।মার্কেট এবং গার্মেন্টস কিছুদিন বন্ধ থাকলে কি হয়, বলে তিনি প্রশ্ন রাখেন।
তিনি বলেন, করোনার এই বিপদকালে মানুষের মধ্যে ত্রাণ গ্রহণের প্রবণতা বেড়েছে। আর আমাদের এলাকায় বহু ভাসমান মানুষের বাস।সবার জন্য কিছু করতে পারলে মনে শান্তি পেতাম।ওয়ার্ডে মশার উৎপাত বন্ধের ব্যাপারে বলেন, একাধিকবার উদ্যোগ নিয়ে ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় আমার লোকজন দিয়ে ফগার মেশিনে স্প্রে করিয়েছি।ত্রাণের বরাদ্দ এবং মশক নিধনে মাননীয় মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী আপার সাথে আবারও আলাপ করে ব্যবস্থা নেবো।মাদকের প্রশ্ন তুললে তিনি বলেন, মাদকের ভয়ালগ্রাসে আমাদের তরুণ সমাজ ধ্বংসমুখি।তাদেরকে রক্ষা করতে সবাইকে সচেতনভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।