পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা সঙ্কটকালে সবকিছুই স্থবির হয়ে পড়েছে। মানুষ ঘরে বন্দি রয়েছে। তবে সরকারি-বেসরকারি সকল কার্যক্রম সচল রয়েছে। এর সবকিছুই তথ্য-প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সফটওয়্যার সংগঠন বেসিস, কম্পিউটার সমিতি, ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও ই-কমার্সসহ অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সংগঠনগুলো বলছে, করোনা সংকট মোকাবেলায় প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা তীব্রভাবে অনুভ‚ত হচ্ছে।
এই বৈশ্বিক মহামারীর ফলে গোটা পৃথিবীর সমস্ত ব্যবসা-বাণিজ্য ও উদ্যোগ বন্ধ হয়ে গেলেও জরুরি স্বাস্থ্যসেবার মতো বন্ধ হয়নি তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি খাতগুলো। বরং মানুষ তাদের বন্ধ হয়ে যাওয়া উদ্যোগ যেমন ই-কর্মাস ভিত্তিক ব্যবসা-বাণিজ্য, অনলাইন প্লাটফর্মের সাহায্যে অফিস, দূরবর্তী শিক্ষা, যোগাযোগ, আর্থিক সাহায্য, ডোনেশান ক্যাম্পেইন, তথ্যসেবা, টেলি মেডিসিনের সাহায্যে স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য সহায়তা, বিনোদন ও সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা প্রভৃতি চলছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতের উপর নির্ভর করেই। এই তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে অনলাইন কোর্টের মাধ্যমে কেস নিস্পত্তি করার প্রক্রিয়া। যেখানে স্বাস্থ্য ও কৃষির পরে অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা আইসিটি প্রকল্পগুলোর, সেখানে এই খাতের বরাদ্দকে বাতিল বা সংকুচিত করাটা কতটা যুক্তিযুক্ত হবে সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্ট অনেকেই।
তাই ২০২০-২১ অর্থবছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়ার আহবান জানিয়েছে ৫টি সংগঠন। দাবি সম্বলিত একটি প্রস্তাবনা তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৫টি জাতীয় বাণিজ্য সংগঠন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) দাখিল করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) সভাপতি শহিদ-উল মুনির, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) সভাপতি এমএ হাকিম, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরিফ এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) সভাপতি শমী কায়সার অংশ নেন।
সংগঠনের নেতারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী রপ্তানিমুখি শিল্প, সেবা খাত ও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকার ঋণ প্রণোদনা প্যাকেজ হিসেবে ঘোষণা করলেও এর সুবিধা আমাদের এ খাতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো নিতে পারছে না। কারণ ব্যাংকগুলো বলছে, তাদের কাছ থেকে আগে ঋণ নেওয়া না থাকলে কিংবা বাড়ি অথবা জমি মর্টগেজ না রাখলে তাদের পক্ষে লোন দেয়া সম্ভব নয়। এজন্য এ খাতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে সহজ শর্তে জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা নিতে পারে সেজন্য সরকারকে ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের আহবান জানিয়েছেন তারা। তারা বলেন, কোম্পানীগুলো ২% সরল সুদে ১ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ঋণ নিতে পারে সে বিধান থাকা দরকার এ ঋণে।
একইসাথে আসন্ন বাজেটে সফটওয়্যার ও আইটিইএস এর উপর আয়কর অব্যাহতির স্বপক্ষে ট্যাক্স এক্সেম্পশন সার্টিফিকেট প্রাপ্তি সহজীকরণ, বাদপড়া বিষয়গুলির অন্তর্ভুক্তি এবং ই-কমার্স ও আইএসপি সার্ভিসকে অন্তর্ভুক্ত করা এবং ইন্টারনেট সেবায় ৫ শতাংশ ভ্যালু চেইনের অন্যান্য (আইটিসি, আইআইজি ও এনটিটিএন) খাতে ১৫ শতাংশ ভ্যাটের পরিবর্তে শূন্য ভাগ করা, ই-কমার্স খাতকে কর্পোরেট কর্পোরেট ট্যাক্স এবং ভ্যাট থেকে অন্তত আগামী ৩ বছরের জন্য অব্যাহতি প্রদান এবং ব্যাংক ঋণ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জন্য ই-কমার্স এর একটি পৃথক সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করার জন্যও সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়। ৫ সংগঠনের নেতারা করোনার কারণে সৃষ্ট অর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে আইটি সেক্টরের প্রতিষ্ঠানসমূহের যেসব বিল আটকে রয়েছে সেগুলো অতি দ্রুততার সাথে পরিশোধের বিষয়েও সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।