পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নতুন হাসপাতালে বেড়েই চলেছে মৃত্যুর সংখ্যা। ২ মে থেকে ওই ইউনিটে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ভর্তি শুরু হয়। গতকাল পর্যন্ত ১১৩ জন ভর্তি রোগী মারা গেছেন। এদের মধ্যে ২৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। বাকিরা করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। করোনা ইউনিটে গতকাল আরো ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে ১ পুরুষের এবং এক নারীসহ অন্যান্যরা করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান। ঢামেক হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অন্যদিকে গতকাল ঢামেকের করোনা ইউনিটে সিট খালি না থাকায় কিছু সময়ের জন্য রোগী ভর্তি বন্ধ ছিল। নোটিশ ছিল, এখানে সিট খালি নেই। অনুগ্রহ করে মুগদা বা কুর্মিটোলায় চলে যান। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বেশ কয়েক ঘণ্টা ভর্তি বন্ধ থাকায় অনেক রোগী ফিরে গেছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক আলাউদ্দিন আল আজাদ জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গতকাল ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে পজেটিভ পাওয়া গেছে ১ পুরুষের। গতকাল বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই হাসপাতালে নারী ও পুরুষ মিল ১১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২ মে থেকে গতকাল পর্যন্ত রোগী ভর্তি হয়েছিল প্রায় ১ হাজার ২০০ জনের ওপরে। অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে বাসায় গেছেন। আবার অনেকেই হাসপাতালের কাউকে কিছু না বলে চলে গেছেন।
রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে মিজানুর রহমান তার মা সাবিনা বেগমকে (৬০) চিকিৎসার জন্য ঢামেক করোনা ইউনিটে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু ভর্তি হতে না পেরে নিরাশ হয়ে মাকে নিয়ে বাসায় চলে যেতে বাধ্য হন। যাওয়ার আগে মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, মাকে নিয়ে কয়েকটি হাসপাতালে গিয়ে ছিলাম। কিন্তু কেউ ভর্তি নেয়নি। ঢামেকেও মাকে ভর্তি করতে পারলাম না। আল্লাহর নামে মাকে বাসায় নিয়ে যাচ্ছি। জীবন-মৃত্যু আল্লাহর হাতে। তিনি মাকে দেখবেন।
রোগীর স্বজনরা জানান, ঢামেক হাসপাতাল করোনা ইউনিটের ভর্তি কক্ষের সামনে লেখা ছিল, আমরা অতি দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের এখানে সিট খালি নেই। অনুগ্রহ করে মুগদা অথবা কুর্মিটোলায় চলে যান। দুপুরের পর ওই নোটিশ নামিয়ে ফেলা হয়।
ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের উপ-পরিচালক আলাউদ্দিন আল আজাদ আরও বলেন, ঢামেক করোনা ইউনিটে কোনো রোগীকে ফ্লোরেও রাখা হয় না। বেড খালি হলে আবারও রোগী ভর্তি করা হয় সেই বেডে। এ জন্য কিছু সমস্যা হচ্ছে। আগামীকালের মধ্যে চালু করা হচ্ছে ঢামেকের করোনা ইউনিট-টু। এ জন্য নতুন ভবনকে প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে প্রায় ৫০০ রোগী ভর্তি হতে পারবেন। তখন ভর্তির সমস্যা কম হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।