Inqilab Logo

সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ঢামেকের পিসিআর মেশিন বিকল হওয়ার আশঙ্কা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০২০, ১২:০৩ এএম

করোনা রোগী সনাক্তে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) থাকা পিসিআর মেশিনটি যে কোনো সময় বিকল হয়ে পড়তে পারে। মেশিনটি নষ্ট হলে করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষার ক্ষেত্রে ঢামেকে যাতে কোনো বিপর্যয় না ঘটে, সেজন্য আরেকটি পিসিআর মেশিন স্থাপন জরুরী হয়ে পড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনেক আগে থেকেই ঢামেকে থাকা পিসিআর মেশিনেই চলছে করোনার পরীক্ষা। করোনার সংকটকালে জরুরী ভিত্তিতে গত ২ এপ্রিল এই হাসপাতালে করোনা টেস্ট শুরু হয়। সেই থেকে নিয়মিত দুই বেলা পিসিআরে পরীক্ষা কার্যক্রাম চলছে। এরই মধ্যে গত ২ মে ঢামেকের বার্ন ইউনিট করোনা হাসপাতালে রুপান্তর করে রোগী ভর্তি শুরু হয়। সেই থেকে দিন দিন রোগী বাড়তে থাকায় মেশিনের উপর চাপও বাড়তে থাকে। ফলে ভর্তি রোগী ছাড়া বাইরের কোনো নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। দুই বেলায় এই মেশিনের ধারণ ক্ষমতা ১৮৮ জন। এর চেয়ে বেশি চাপ পড়লে মেশিন বিকল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জানা গেছে, নির্ধারিত ডিউটির পর ঢামেকের চিকিৎসক-নার্সসহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের পরীক্ষা করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। ভর্তি রোগীদের পাশাপাশি এই সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের নমুনাও এই মেশিনে পরীক্ষা করতে হয়। বর্তমানে এই মেশিনে রোগী এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের পরীক্ষা করতেই হিমসিম খেতে হচ্ছে। অপরদিকে ঢামেকের মত একটি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে অনেক বেশি প্রত্যাশা থাকলেও, বাইরের রোগীদের সেই প্রত্যাশা পূরণে বাধা অনেক আগের এই মেশিনটি। ধারণ ক্ষমতা না থাকায় পরীক্ষা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন বাইরের রোগীরা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়েই মাঝে মাঝে মেশিন গরম হয়ে যাচ্ছে। সামান্য শব্দ হচ্ছে। যে কোনো সময়েই মেশিনটি বিকল হয়ে পড়তে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বলেন, এটা কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল। হঠাৎ করে মেশিন নষ্ট হয়ে গেলে কি হবে? এখানে পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। তখন বিরাট একটা বিপর্যয় ঘটবে বলে মনে করছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. সুলতানা শাহানা বানু বলেন, তিনি অনেক আগেই আরেকটি মেশিন চেয়ে আবেদন করেছেন। এখনো পান নি। হয়তো পাবেন। তবে তিনি বলছেন, দেরি নয়; জরুরী ভিত্তিতেই পিসিআর মেশিন দরকার।
গতকাল বুধবার এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢামেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ জানান, তিনি একটু আগেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, তিনি (মন্ত্রী) বলেছেন, এখন যতগুলো মেশিন আছে, সবগুলোই ব্যবহার হচ্ছে। নতুন মেশিন আসবে। নতুন মেশিন আসলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আমাদের যে মেশিনে কাজ চলছে, এর সাথে নতুন আরেকটি মেশিন যুক্ত হবে। আমরা নতুন একটা পেয়ে যাবো ইনশাল্লাহ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ