Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সরকারি সব অফিসে জীবাণুনাশক টানেল-থার্মাল স্ক্যানার বসছে

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০২০, ২:৫০ এএম

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও ব্যাপক বিস্তার রোধে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সব সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি সব সরকারি অফিসে জীবাণুনাশক টানেল ও থার্মাল স্ক্যানার বসানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি সোমবার (১১ মে) সব সরকারি অফিসে পাঠানো হয়। চিঠিতে এসব স্বাস্থ্য নির্দেশনা পরিপালন করা হচ্ছে কিনা, সেটি নজরদারির জন্য একটি ভিজিল্যান্স টিম গঠনের কথাও বলা হয়েছে। 

জানা গেছে, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় গত ২৮ মার্চ দেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহযোগিতার জন্য আটজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞকে দায়িত্ব দেয়। এজন্য তাদের দেশের বিভিন্ন বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গৃহীত কার্যক্রম, স্বাস্থ্যসেবা প্রস্তুতি ও অন্যান্য কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং সুবিধা যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মতভাবে বৃদ্ধি ও কার্যকর করার লক্ষ্যে তাদের সুপারিশমালা তৈরি করতে বলা হয়। পাশাপাশি তাদের কভিড-১৯ রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে জাতীয় প্রস্তুতির সঙ্গে সংগতি রেখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করতেও বলা হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, বিশেষজ্ঞরা সবাই যেহেতু জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, সেহেতু তাদের সম্মিলিতভাবে দেশের করোনা পরিস্থিতির গতিবিধি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রক্ষেপণ এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখার সম্ভাব্য উপায় এবং সম্ভাব্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ সম্পর্কে পরামর্শ দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত দলটি চীন ও অন্যান্য দেশের সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা অধ্যয়ন ও পর্যালোচনার মাধ্যমে এ কারিগরি নির্দেশনাটি প্রণয়ন করেছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সরকারি অফিসগুলোয় প্রয়োজনীয় সংখ্যক জীবাণুমুক্তকারী টানেল স্থাপনের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা প্রদান করা যেতে পারে। অফিস চালুর আগে অবশ্যই প্রতিটি অফিস কক্ষ, আঙিনা ও রাস্তাঘাট জীবাণুমুক্ত করতে হবে। প্রত্যেক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের প্রবেশপথে থার্মাল স্ক্যানার বা থার্মোমিটার দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে অফিসে প্রবেশ করতে হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অফিসের পরিবহনগুলো অবশ্যই শতভাগ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যানবাহনে বসার সময় পারস্পরিক শারীরিক দূরত্ব ন্যূনতম তিন ফুট বজায় রাখতে হবে এবং সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। যাত্রার আগে ও যাত্রাকালীন পথে বারবার হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। খাওয়ার সময় শারীরিক দূরত্ব ন্যূনতম তিন ফুট বজায় রাখতে হবে। প্রতিবার টয়লেট ব্যবহারের পরে সাবান দিয়ে জীবাণুমুক্তকরণ নিশ্চিত করতে হবে। অফিসে কাজ করার সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কর্মস্থলে সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং ঘন ঘন সাবান পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।

এছাড়া মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, সার্জিক্যাল মাস্ক বা তিন পরত স্তরবিশিষ্ট কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, যা নাক ও মুখ ভালোভাবে ঢেকে রাখবে। সার্জিক্যাল মাস্ক শুধু একবার ব্যবহার করা যাবে, কাপড়ের মাস্কের ক্ষেত্রে সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে পুনরায় ব্যবহার করা যাবে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন সাধারণ নির্দেশনাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি নিয়মিত মনে করিয়ে দিতে হবে এবং তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে কিনা, তা মনিটরিং করতে হবে। ভিজিলেন্স টিমের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এছাড়া দৃশ্যমান একাধিক স্থানে ছবিসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশনা ঝুলিয়ে রাখতে হবে।

নির্দেশনায় কোনো কর্মচারীকে অসুস্থ পাওয়া গেলে তাত্ক্ষণিকভাবে তাকে আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে বলেও উল্লেখ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।



 

Show all comments
  • Abdur Rafi ১২ মে, ২০২০, ৮:৪৪ এএম says : 0
    জনগণে টাকা লুটপাটের ভাল সুযোগ। জনগণ না বাচিয়ে সরকার বাচাও পন্থা জনগণ ছাড়া সরকার হয় কিভাবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ