পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় এক দল উৎসাহী বেকার যুবক ও ছোট খামারি ভবিষৎ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে পরিকল্পিতভাবে মুরগি পালনে এগিয়ে আসে। তাদের নিয়ে পল্লী উন্নয়ন বোর্ড ঐ এলাকায় ৮টি পল্লী উন্নয়ন দল গড়ে তোলে। ঐ পোল্ট্রি জোনে ২শ’ ৮০টি খামারে আগ্রহী বেকার যুবক ও ছোট খামারি বাণিজ্যিক ভিক্তিতে লেয়ার ও সোনালি জাতের মুরগী পালনে উদ্যোগী হয়। পল্লীউন্নয়ন বোর্ড তাদের প্রত্যেকে ঐ জাতের মুরগী পালনে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়। শুধু তাই নয় তাদের ৫০ জনকে ১ লাখ টাকা করে ঋণ সহায়তা প্রদান করে। ফলে যুবকরা তাদের কর্মস্থানের সুযোগ পায়।
ইতোমধ্যে ঐ এলাকায় ব্যাপকভিক্তিতে মুরগী পালনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। প্রশিক্ষিত ঐ যুবকদের সাফল্যে আরও অনেকেই ব্যক্তি উদ্যোগে মুরগী পালনে এগিয়ে এসেছে। ফলে সেখানে বাণিজ্যিকভিক্তিক এক ব্যাপক অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। সেখানকার উৎপাদিত ডিম ও মুরগী স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাইরে পাঠানো হচ্ছে। ফলে ওই এলাকায় ২৮০টি খামারে লেয়ার ও সোনালি মুরগি পালন বাণিজ্যিকভাবে চলছে। এছাড়া সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পোল্ট্রি লেয়ার ৬শ’, বয়লার ৪শ’ ও সোনালি মুরগি ১৫০টি খামার স্থাপন করে লেয়ারের ডিম ও মাংস বিক্রি করে ওই এলাকয় বেকারত্ব ঘুচানো হয়।
কিন্তু বর্তমানে করোনা প্রভাব পরেছে এ আঞ্চলে। এখানকার উৎপাদিত ডিম ও মুরগী বাইরে পাঠানো যাচ্ছে। ফলে বাজার হারিয়ে খামারিরা পরেছেন বিপাকে। তারা উৎপাদনের খরচ তুলতে পারছে না। লোকসানের মুখে তারা এখন দিশেহারা। এ অবস্থায় খামারিদের ভর্তুকি বা প্রনোদনার ব্যবস্থা করা না হলে খামারগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়া আশঙ্খা করা হচ্ছে।
খামারি জহুরুল হক ও হারুন অর রশীদ জানান, ডিমের ও মাংসের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় খামার এখন লোকসানে পরিনত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রণোদনা মোতাবেক এসকল খামারিদেরকে ভর্তুকি মূল্যে খাদ্য ও ব্যাংক লোনের সুদ যদি মওকুফ করা হয়, তবে এলাকার খামারিরা প্রাণিজ আমিষের উৎপাদন অব্যাহত রাখতে পারবে।
বিআরডিবির উপজেলা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, সম্বনিত পল্লী দারিদ্র দূরিকরণ প্রকল্পের অধীনে প্রায় ৫০ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া এসব খামারিরা কয়েক কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করেছেন। খামারিদের উৎপাদিত ডিম, মাংস বাজারজাতকরণ না হওয়ায় এসব খামার বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।