Inqilab Logo

শনিবার, ০৮ জুন ২০২৪, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কুষ্টিয়ায় ধানের বাম্পার ফলন : স্বস্তিতে কৃষক

এস এম আলী আহসান পান্না, কুষ্টিয়া থেকে : | প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০২০, ১২:০২ এএম

কুষ্টিয়ায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে শুধুই সোনালি ধান। ইতোমধ্যেই মাঠে পেকে ওঠা ধান কাটা শুরু হয়েছে। এবারের বোরো মৌসুমে জেলার ৬ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ধান চাষ হয়েছে, কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

জানা যায়, চলতি মৌসুমে কুষ্টিয়া জেলায় ৩৩ হাজার ২৭৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এবার বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন। তবে এবার বোরো চাষ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে বলে কৃষক জানান। জেলার মাঠজুড়ে বিভিন্ন জাতের ধান চাষ হয়েছে। হাইব্রিড জাতের মধ্যে সোনার বাংলা-১, গোল্ড ও জাগরণ ধান প্রতি হেক্টরে ৪.৭ টন এবং উচ্চ ফলনশীল (উফসী) জাতের ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯, হীরা ও গাজী ধান প্রতি হেক্টরে ৩.৭ টন করে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি উৎপাদন হবে, কৃষক ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান। সদর উপজেলার কবুরহাট, বাড়াদি, জয়নাবাদ, বটতৈল ও মোল্লাতেঘরিয়া গ্রামের পেকে ওঠা ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে।

সদর উপজেলার বাড়াদি এলাকার কৃষক আব্দুল মালেক জানান, এবার বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া, সার, বালাইনাশক ও সেচ সঠিকভাবে দেয়ায় ধানের ছড়া লম্বা ও ফলন ভালো হয়েছে। বিঘাপ্রতি ১৫-১৬ মন থেকে ১৮-২০ মন পর্যন্ত ধান কৃষকের ঘরে উঠবে।

এদিকে করোনার কারণে ধান কাটার শ্রমিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তবে সঙ্কট এড়াতে সরকারি ভর্তুকিতে কৃষককে দেয়া হচ্ছে কম্বাইন্ড হারভেস্টার। কুষ্টিয়ার ৬ উপজেলায় ১২টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার, ৩টি রিপার মেশিন ও ১টি রাইচ ট্রান্সপ্লান্টার বরাদ্দ করা হয়েছে। কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের মোট মূল্যের অর্ধেক কৃষক দেবে। বাকি অর্ধেক ভর্তুকি হিসেবে দেবে সরকার।

কৃষি বিভাগ ও সরকার গঠিত কমিটির মাধ্যমে ইতোমধ্যে ভর্তুকিতে ৮টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন কৃষক কিনে নিয়েছেন। এ কম্বাইন্ড হারভেস্টার ব্যবহার করলে ধানকাটা, মাড়াইসহ বস্তাভর্তি হয়ে অটোমেটিক ধান বেরিয়ে আসবে। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ধানকাটা কার্যক্রম চলবে, কৃষি বিভাগ কর্মকর্তারা জানান।

কুষ্টিয়া কৃষি অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ শ্যামল কুমার বিশ্বাস জানান, বোরো আবাদে শুরু থেকেই কৃষককে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবার ধানের ফলনও অনেক ভালো হয়েছে, তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ