পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রকান্ড গম্বুজ বিশিষ্ট শ্বেত-শুভ্র ভবন। ভবনের ভেতর এজলাস। খাস কামরায় আছেন বিচারপতিও। কিন্তু নেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপকরণই। ফাইল বগলদাবা করে গাউনপরা আইনজীবীদের রুদ্ধশ্বাস ছোটাছুটি নেই। খাঁ খাঁ করছে ক্রিস্টাল টাইলসে মোড়া আদালতের দীর্ঘ করিডোর। নেই বিচারপ্রার্থীদের চিরচেনা উপস্থিতি, মুখরিত কোলাহল। কারও সঙ্গে কারও দেখা নেই। নেই কোলাকুলি কিংবা করমর্দন। এমনই এক জনশূন্য পরিবেশে শুরু হয়েছে উচ্চ আদালতের বিচার কার্যক্রম। যাকে বলে ‘ভার্চুয়াল কোর্ট’।
দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে এ এক নতুন সংযোজন। এক নতুন বিচারিক যুগের সূচনা। বৈশি^ক করোনা-কালে তথ্য-প্রযুক্তির সমন্বয়ে চালু করা হয়েছে এ আদালতের। এ আদালতে বিচারক, আইনজীবী, বিবাদী-ফরিয়াদির সশরীরে উপস্থিতি প্রয়োজন নেই। নিজ নিজ অবস্থানে থেকেই ইন্টারনেটে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে চালাবেন বিচার কার্যক্রম। গতকাল সোমবার ছিল ‘ভার্চুয়াল কোর্ট’র প্রথম কার্যদিবস।
সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্র্রার জেনারেল দফতর সূত্র জানায়, ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাদ্যমে শুনানির লক্ষ্যে প্রথম দিনেই বেশকিছু ‘জরুরি আবেদন’ ইন্টারনেটের মাধ্যমে জমা পড়েছে। প্রায় সবগুলোই জামিন আবেদন। বেলা সোয়া ১ টার মধ্যে বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চে ৩টি জামিন আবেদন জমা পড়েছে। একটির আইনজীবী দেওয়ান মো. আবু ওবায়েদ হোসেন। অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এবং মো. শাহীন মিয়াও জামিনের আবেদন দিয়েছেন। দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদের জামিনের শুনানি করবেন শিশির মনির।
ভার্চুয়াল বিচার কাজের জন্য আরও দুটি বেঞ্চে আবেদন জমা পড়ছে। একটি হচ্ছে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ। জরুরি রিট, দেওয়ানি মোশন এবং এ সংক্রান্ত আবেদন জমা পড়ছে এটিতে। বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশী আলম সরকারের নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চে আবেদন জমা পড়ছে বিবিধ মামলার শুনানির আবেদন।
যেভাবে চলছে কার্যক্রম : বিচারপতিগণ কিভাবে শুনানি নেবেন, আদেশ ও রায় দেবেন, আইনজীবীরা কোথায় কিভাবে আবেদন দাখিল করবেন-এসব বিষয়ে ১৪টি ‘আচরণ বিধি’ বেঁধে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষ। সে অনুযায়ী, কেন আবেদনটি জরুরি সে বিষয়ে এক পৃষ্ঠার মধ্যে সারসংক্ষেপ লিখে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ অফিসারের ই-মেইলে আইনজীবী পাঠাচ্ছেন। বেঞ্চ অফিসার তা ই-মেইলের মাধ্যমেই বিচারপতির কাছে উপস্থাপন করছেন। অনুমতি পাওয়ার পর ই-মেইলেই আবেদন দাখিল করছেন আইনজীবী। সে ক্ষেত্রে অনুসৃত হচ্ছে কিছু নিয়ম। আবেদনের কপি পাঠানো হচ্ছে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে। শুনানির সময় নির্ধারণ করে অনলাইন কার্যতালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে। কার্যতালিকায় দেয়া সময় অনুযায়ী শুনানি হবে। মামলার গুরুত্ব অনুযায়ী শুনানির দিনক্ষণ নির্ধারণ করবেন বিচারক। মামলার আবেদন ও দাখিলকৃত নথির একটি প্রিন্ট কপি সংরক্ষণ করতে হবে। যেদিন শুনানি সময় মামলার সকল পক্ষের আইনজীবীরা নিজ নিজ অবস্থানে থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশ নেবেন। এ সময় বিচারক ও আইনজীবীকে যথাযথ পোশাক ও গাউন পরিধান করতে হবে। শুনানির পর মামলার রায় বা আদেশের অনুলিপির স্ক্যান কপি ই-মেইলে পাবেন আইনজীবীরা। তবে গতকাল ই-মেইলের মাধ্যমে শুধু আবেদনই জমা পড়েছে। শুনানির দিন-ক্ষণ সাব্যস্ত হলেই শুরু হবে ভার্চুয়াল শুনানি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।