পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলতি মে মাসে ঈদ-উল-ফিতরের আগে চারদিনের জন্য সরকারি বেসরকারি অফিস-আদালত খোলা থাকছে। সে হিসেবে আগামী রোববার সরকারি ও বেসরকারি অফিস খুলছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত দেড় মাস ধরে অফিস-আদালত বন্ধ ছিল। আগামী ১৭ মে খুলে চলবে ২০ পর্যন্ত। এর পরে ২১ মে শব-ই-কদরের পর থেকে ২৬ মে পর্যন্ত ঈদের ছুটির ফাঁদে সারাদেশ। তবে ২৭ ও ২৮ মে অফিস আদালত খোলা থাকবে কি না এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ঈদের পরে এ দু’দিন ছুটির ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন ফোনে ইনকিলাবকে বলেন, সাধারণ ছুটির মধ্যে সরকার সব দিক বিবেচনা করেই এগোচ্ছে। আগামী ১৭ মে অফিস খুলবে। এই চারদিন সাধারণ মানুষ এবং যারা চাকরি করে তারা বেতন-ভাতা তুলবেন। তিনি বলেন, ২১ মে শব-ই-কদরের বন্ধ। এর পরে ২২ তারিখ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত ঈদের ছুটি রয়েছে। সেখানে ঘোষণা দেয়ার প্রয়োজন মনে করছি না।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আরও কিছু দিন হয়তো যেতে হবে। ঘরে থাকাটা বাংলাদেশের জন্য না, সব দেশের মানুষের জন্যই চ্যালেঞ্জ। মানুষের যে পুঁজি সেটা শেষ। সে ক্ষেত্রে মানুষ তো বাইরে বের হয়ে কাজ করতে চাইবে। এজন্য উপায় একটা বের করতে হবে। উপায় হচ্ছে, সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করা।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত দেড় মাস ধরে অফিস-আদালত বন্ধ রয়েছে। চলতি মাসের ১৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া হলেও এখনও অধিকাংশই বন্ধ। এতে প্রশাসনিক ও অন্য কাজে স্থবিরতা তৈরি হয়েছে। করোনার মধ্যেও জনসমাগমের স্থান মসজিদ, পোশাক কারখানা, দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও সরকারি অফিস খুলে না দেয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন সেবা গ্রহীতারা।
গত রোববার প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দেয়া অনুদান গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা কিছু কিছু সেক্টর আস্তে আস্তে খুলে দেয়া চেষ্টা করছি। কিছু জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা যাতে মানুষ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করছি। কারণ এটা রোজার মাস। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে গৃহীত লকডাউন পরিস্থিতিতে মানুষের কষ্টের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিশ্বের অন্যান্য দেশে করোনা মহামারী শুরুর পর বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ধীরে ধীরে রোগী বাড়তে থাকায় ১৭ মার্চ হতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর সরকারি-বেসরকারি সব অফিস-আদালত বন্ধ ঘোষণা করা হয় ২৬ মার্চ। সঙ্গে সঙ্গে গণপরিবহনও বন্ধ হয়ে যায়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকে।
অফিস-আদালত বন্ধ থাকায় মানুষের ভোগান্তি দিন দিন চরম পর্যায়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ ও মৌলিক চাহিদার বাইরে প্রয়োজনীয় সাধারণ কিছু সেবা নিতে পারছেন না মানুষ। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব বলেন, যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে খুব সহসাই করোনা যাচ্ছে না। স্থানীয় সরকার বিভাগ সারাদেশে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ চলছে। এতে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদেরও চাপ তৈরি হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।