পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা দুর্যোগকালে মোবাইলফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের সহায়তার ঘোষণা প্রহসন কিনা সে প্রশ্ন তুলেছে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। এই সহায়তা মানুষের কোন কাজে আসবে না বলেও মনে করে সংগঠনটি। গতকাল রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে একথা বলা হয়।
এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রামীণফোন করোনা দুর্যোগে সহায়তার নামে ১০০ কোটি টাকার যে ঘোষণা দিয়েছে তা হতে পারে বাণিজ্যিক কৌশলগত সহায়তা। যা গ্রাহকদের সাথে এক প্রকার প্রহসন মাত্র। তাদের সহায়তা বিশ্লেষণ করলে দেখতে পাই প্রথমত: প্রায় ৭ কোটি ৫০ লাাখ গ্রাহকের মধ্যে ১ কোটি গ্রাহকের জন্য ১০ কোটি মিনিট ফ্রি দিবে।
একজন গ্রাহক ১০ মিনিট ফ্রি পাবে। এই ফ্রি অফার দিয়ে গ্রাহকের কি উপকারে আসবে? দ্বিতীয়ত: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সার্টিফাইড ২৫ হাজার করোনা চিকিৎসককে ১ টাকায় ১জিবি মূল্যে মাসে ৩০ জিবি ইন্টারনেট প্রদান। আমদের প্রশ্ন এই সকল ডাক্তারগণ বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত সময় পার করছে। তাছাড়া তাদের যেখানে রাখা হচ্ছে সেখানে ফ্রি ইন্টারনেটের ব্যবস্থা রয়েছে। যাদের হাতে পর্যাপ্ত সময় নেই তারা কিভাবে এই সুবিধা ব্যবহার করবে।
তিনি বলেন, যদি জিপি ঘরে বসে থাকা টেলিমেডিসিন সেবা দিচ্ছে এমন চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, অনলাইন ক্লাস করছে যারা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা গণমাধ্যম কর্মীদের দিত তবে বিষয়টি ভিন্ন হতো। তৃতীয়ত: সকাল ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ৪৮ পয়সা মিনিট কলরেট। এক্ষেত্রেও অফিস-আদালত বন্ধ, লকডাউন ও রমজান থাকায় এসময়টি বর্তমানে অফ পিক আওয়ার। তাছাড়া এই কমরেট অন্য অপারেটরদের অনেক পূর্বেই ছিল। গ্রাহকদের পাওনা কলড্রপের মিনিট ফেরত দিলে এ সকল সুবিধার প্রয়োজন হবে না। চতুর্থত: খুচরা ব্যবসায়ী তথা রিটেইলারদের জন্য তারা ১০ কোটি টাকার ক্রেডিট স্কীম রেখেছে। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন যে রিটেইলারদের তারা শুরু থেকেই বঞ্চিত করে আসছে। তাদের কাছ থেকে অগ্রীম সঞ্চয় গ্রহণ করে মুনাফা না দিলেও উল্টো কম কমিশন দিয়ে অবৈধ অফার দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের সুযোগ করে দিয়েছে।
মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, এসকল সহায়তা কারো কোন কাজে আসবে না। বরং এই সহায়তার নগদ অর্থ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা দেয়া হোক। না হলে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি কমিটি করে চিকিৎসার কার্যক্রম ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করা যেতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।